কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। আমাদের কমবেশি সবার একটি পছন্দের ফল। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus Heterophyius. কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুনাগুন। কাঁঠাল আমাদের দেশীয় ফল। এটা মৌসুমী ও ফল ও বটে এটা খেতে খুব সুস্বাদু। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে।
সূচিপত্রঃ কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- ভুমিকা
- কাঁঠালের উপকারিতা
- কাঁঠালের অপকারিতা
- কাঁঠালের মধ্যে কি কি গুনাগুন বিদ্যমান
- কাঁঠালের ঔষধি গুন
- কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- কাঁঠালের বিচির গুনাগুন
- শেষ কথা
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল ।আমরা কাঁঠাল সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত জানবো কাঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা, কাঠালের মধ্যে কি কি গুণ বিদ্যমান,কাঁঠালের ঔষধি গুণ, কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক নিয়ম, কাঁঠালের বিচির গুনাগুন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করব।কাঁঠালের উপকারিতা
- কাঁঠাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- কাঠাল হাড় ভালো রাখে
- কাঁঠাল চোখ ভালো রাখে
বর্তমান সময়ে ছোট বড় সবারই রোগ লেগে । আর এজন্যই আমাদের ফল খাওয়া প্রয়োজন আর সেটা হোক কাঁঠাল কিংবা অন্য ফল। কাঁঠালের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিজেন তাই কাঠাল মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পাওয়া যায়। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় এজন্য আমাদের কাঁঠাল খাওয়া প্রয়োজন।
কাঠাল হাড় ভালো রাখে
কাঁঠাল আমাদের মৌসুমী ফল।কাঁঠালে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকে ক্ষতিকর ফি ফ্রিরাডিকেলস থেকে রক্ষা করে। কারণে থাকা ক্যাল সামও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হার শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।
কাঁঠাল চোখ ভালো রাখে
ভিটামিনের সমৃদ্ধ কাঠাল দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ মানব দেহের চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। এছাড়া ছানি ও রেটিনার অন্যান্য অসুখকে প্রতিহত করে এই ফল।
কাঁঠালের অপকারিতা
প্রতিটা ফলের উপকারিতার সাথে অপকারিতা জড়িয়ে থাকে। কাঁঠাল ব্যতিক্রম নয় কাঠালেরও কিছু অপকারিতা আছে। কাঁঠাল একটি গ্রুপ ফল এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ আছে। এজন্য কাঁঠাল খাওয়ার পর পেঁপে খাওয়া ঠিক না এতে করে চুলকানি এলার্জি মত সমস্যা হতে পারে। কাঁঠাল খাওয়ার পর দুধ খাওয়া ঠিক না এতে পেট ফোলার সমস্যা থাকে আবার অনেকের শরীরে ফুসকুড়ির মত বের হয়, অনেকের সাদা দাগের সমস্যা হতে পারে।কাঁঠালের মধ্যে কি কি গুনাগুন বিদ্যমান
কাঁঠাল একটি সুস্বাদুর রসালো ফল। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ এই কাঁঠাল। কাঁঠালে আছে ভিটামিন এ ,স, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম শাহ নানা ধরনের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান উপাদান আমাদের মানব দেহকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।কাঁঠালে কিছু পরিমাণ প্রোটিনও পাওয়া যায় প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঠালে ১.৮গ্রাম, কাছাকাছি হলে ২০৬ গ্রাম ও কাঠুরের বীজের ৬ পয়েন্ট ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এই প্রোটিন দেহ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁঠালের থাকে হস করার ৩০৩ মিলিগ্রাম এবং ক্যালরি পাওয়া যায় ৯৪ মিলিগ্রাম। খনিজ পদার্থ ১ পয়েন্ট ১ কিলো ক্যালোরি ৪৮, আমিষ ১ পয়েন্ট৮ গ্রাম, শর্করা ৯ পয়েন্ট ৯ গ্রাম ইত্যাদি থাকে।
কাঁঠালের ঔষধি গুন
কাঁঠালের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন গাছের শিকড় বিভিন্ন রোগ নিরাময় সাহায্য করে। কাঁঠাল গাছের শিকড় চর্ম রোগের সমস্যার সমাধনা খুবই উপকারী এছাড়াও কাঁঠাল গাছের শিকড় হাঁপানি নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে। যাদের হাঁপানি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা কাঁঠালের শিকড় সিদ্ধ করে পাটাতে পিশে এর পুষ্টি উপাদান বের করে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে এই রোগ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঁঠাল রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি জাতীয় উপাদান। কাঁঠালের রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও চোখের ছানি দূর করে। আর কাঁঠালি থাকার ভিটামিন সি মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল দাঁত মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মৌসুমী ফল কাঁঠাল যেমন উপকারিতা আছে, তেমনি অপকারিতা ও আছে সঠিক নিয়ম মেনে কাঁঠাল না খেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আমাদের জাতীয় ফল এই কাঁঠালকে আমরা দুই ভাবে খেতে পারি।১। কাঁচা কাঁঠাল
২। পাকা কাঁঠাল
২। পাকা কাঁঠাল
কাঁচা কাঁঠাল
কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। কাঁচা কাঁঠালের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম না রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে । এর ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ হয়। আমাদের শরীরে পুষ্টির জন্য এক ধরনের কোলাজেন নামের প্রোটিন বা আমিষ দরকার হয়। কাঁঠালের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি। কাঁচা কাঁঠালের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম না রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে । এর ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধ হয়। আমাদের শরীরে পুষ্টির জন্য এক ধরনের কোলাজেন নামের প্রোটিন বা আমিষ দরকার হয়। কাঁঠালের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও কাঠাল মানুষ বিভিন্নভাবে রান্না করেন। কেউ কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে কাবাব বানান।আবারকেউ গরুর মাংস দিয়ে মজাদার রান্নার রেসিপি তৈরি করেন। কেউ কাছে কাঁঠাল দিয়ে কাঁচা কাঁঠালের ডালনা বানান। এভাবে কাঁচা খাড়াল খাওয়া যায়।
পাকা কাঁঠাল
বাজারে এখন নানা রসালো ফলের সমাহার। চারিদিকে ফলের মুখরিত হয়ে আছে। মৌসুমের ফল কাঁঠাল। এটি আমাদের জাতীয় ফল নামে পরিচিত। জানেন কি কাঠালে আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুন। যা খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ সরকারও ভিটামিন।
কাঁচা কাঁঠালের প্রচুর ক্যালরি থাকে ।যারা ওজন কমাতে চান তাদের একটু বুঝে শুনে খাওয়াই ভালো। দিনে দুই একটা খেতে পারেন তাতে কোন সমস্যা হবে না। তবে বেশি খাওয়া যাবে না। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস রোগী আছেন তারা এটিকে এগিয়ে চলুন।
কাঁঠালের বিচির গুনাগুন
কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্সের ভরপুর। যা মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ উপকারী। কাঁঠালের বিচি ত্বকের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে আয়রনের মাত্রা বাড়ে। কাঁঠালের বিচি তে রয়েছে হিমোগ্লোবিনের উৎস। এটি অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁঠালের বেশি শরীরের নানা উপকারে আসে কাঁঠালের বিচি বদহজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বিশেষ করে বদ হজম রোগের একটি পেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে কাঁঠালের বিচি খেলে কষ্ট কাষ্ঠনের সমস্যা কমে।আসে চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url