বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার ৮ টি গোপন আইডিয়া
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে এমন অনেকেই আছে যারা পুঁজির অভাবে লাভজনক ব্যবসা করতে পারছে না ।আজকে আমরা জানব বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা কিভাবে করা যায়। বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ এ যুগে একটু স্মার্ট হলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। এমনই বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার ৮ টি গোপন আইডিয়া দেব।
সূচিপত্রঃবিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসার ৮ টি গোপন আইডিয়া
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো বিনা পুঁজিতে লাভজন ব্যবসার ৮ টি গোপন আইডিয়া। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো ড্রপ শপিং ব্যবসা, ব্লগ বিজনেস, ইউটিউব চ্যানেল, ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট, অনলাইন কনসার্টিং, গ্যারেজ ব্যবসা, ডাটা এন্ট্রি , ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা ইত্যাদি প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
ড্রপ শপিং ব্যবসা
ড্রপ শপিং হলো একটি ই-কমার্স বিজনেস মডেল। এই পদ্ধতিতে ব্যবসা করতে পুঁজির প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে একজন বিক্রেতা তার পাইকারি বিক্রেতা অথবা সংগ্রহকারী মাধ্যমের কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে থাকে বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যমে হিসেবে ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি।
ড্রপ শপিং ব্যবসা হচ্ছে এমন ব্যবসা যেখানে আপনি আপনার অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে অন্য কোম্পানির পণ্য গ্রাহকদের সামনে দেখাতে পারবেন। গ্রাহক যখন পণ্য পছন্দ করে সেটি ক্রয় করার জন্য অর্ডার করবে ।তখন আপনি সেই অর্ডার কোম্পানির কাছে পৌঁছে দিতে পারে।কোম্পানি তখন গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
এ ব্যবসায় আপনার লাভ হচ্ছে কোম্পানির্দিষ্ট করা দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা যেমন একটা শাড়ির দাম 2000 টাকা। আপনি সেই শাড়ি তিন হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করলেন এখানে অতিরিক্ত যে ১০০০ টাকা বেশি দিয়ে বিক্রি করলেন এই টাকাটা আপনার।
ব্লগ বিজনেস
আপনারা যারা পুঁজির অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না। আমি তাদেরকে সাজেস্ট করব ব্লগ বিজনেস করতে। এখন প্রশ্ন হতে পারে কিভাবে ব্লগ বিজনেস করবো ব্লক বিজনেস কি? ব্লক বিজনেস হলো আর্টিকেল লেখা আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বিক্রি করে লাভ্যাংশ অর্জন করতে পারেন। ব্লক বিজনেসের জন্য প্রথমে আপনাকে আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে।
কারণ ভালো এবং উন্নত মানের আর্টিকেল তৈরি করে আর্টিকেল ছাড় ইঞ্জিনে রান করাতে হবে। আর যখন আপনাদের আর্টিকেল চার জনের রেংক করবে তখন আপনার সেই আর্টিকেল ইউজ। পরিমাণ ভিজিটর আসবে। আর যত বেশি ভিজিটর আপনার ব্লগ পোস্ট পড়তে আসবে তত বেশি পরিমাণে প্রোডাক্ট এবং বিভিন্ন সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন।
তাই আপনি যদি বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করা চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ব্লগ বিজনেস খুবই উপকারী হবে একটু কষ্ট হলেও তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন লাভবান হতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল
বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেল দেখানা এমন লোক সংখ্যা খুবই কম আছে। ছোট থেকে বড় ৫ থেকে ৮০ বয়সের প্রায় লোকেরাই এখন ইউটিউব ের ভিডিওগুলো উপভোগ করেন। তাই আপনিও চাইলে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে অনেক ভাবেই বিনা পুচিতে ব্যবসা করতে পারবেন।
ইউটিউবে ভিডিও আপলোড এবং তার মাধ্যমে টাকা আয়ের জন্য প্রথমে আপনার প্রয়োজন একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব যেহেতু google এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তাই ইউটিউবের সকল কাজ করার জন্য গুগল একাউন্ট প্রয়োজন। তাই প্রথমে আপনার গুগল একাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে লগইন করতে হবে। এইতো ভাই আপনি ইউটিউব চ্যানেলটি পূর্ণাঙ্গ রূপে ব্যবহার করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে যেভাবে ব্যবসা করবেন। প্রথমে আপনাকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। তারপর ভালো ভাবে ভিডিও তৈরি করা শিখতে হবে। তারপর ভিডিওকে সুন্দর করে এডিট করতে হবে তারপর youtube এ আপলোড করতে হবে। আস্তে আস্তে যখন চ্যানেলটির ভিউয়ার্স বাড়বে সাবস্ক্রাইবার বাড়বে তখন সেখান থেকে টাকা আর্নিং করতে পারবেন।
অনলাইন কন্সাল্টিং
যারা বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করতে চায় তারা অনলাইনে কল সায়েন্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারে। আজকাল অনেকে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর পরামর্শ দিয়ে ভালো আয় করছে। আপনিও চাইলে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনলাইনে পরামর্শ দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে বেশি ভালো জানেন চাইলে সেই বিষয়ে দিয়ে শুরু করতে পারেন ।
হতে পারে সেটা খেলাধুলা, শরীরচর্চা, আইন বিষয়ক অথবা ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদি। এক সময় দেখবেন আপনার অনেক ভিউয়ার্স এসে গেছে। আপনার ফ্যান ফলোয়ার বেড়ে গেছে এভাবে যখন আপনি অনলাইন কন্সাল্টিং ব্যবসা শুরু করবেন।
এক সময় দেখবেন আপনাকে বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অফার করছে। সেখানে আপনি কিছু অর্থের বিনিময়ে তাদের বিজ্ঞাপন করে দিলেন এভাবে করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এতে কোন পুজি দরকার হয় না।
গ্যারেজ ব্যবসা
যাদের বাজারে এলাকায় বা শহরে বাড়ি তাদের জন্য গ্যারেজ ব্যবসা খুবই সহজ হয়। বাজারে এলাকায় যাদের বাসা তাদের বাসার নিচ তলায় চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে অবশ্যই অবশ্যই নিচ তলায় খালি জায়গা থাকতে হবে। শহর এলাকায় এটা আরো সহজ তবে অবশ্যই নিচ তলায় প্রচুর পরিমাণে ফাঁকা জায়গায় থাকতে হবে।
ডাটা এন্ট্রি
বর্তমান সময়ে অনেক কোম্পানি তাদের ডাটাবেজ তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট বেতন বিনিময় কর্মী নিয়োগ না করে ডাটা এন্টি এজেন্সিকে দিয়ে করিয়ে থাকে। ব্যবসা করতে চাইলে ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কোন ধরনের প্রতি ছাড়াই ঘরে বসে এই সার্ভিস দেয়া যায়। এর জন্য আপনাকে প্রথমে ডাটা এনটি শিখতে হবে তারপর একটা একাউন্ট খুলতে হবে।
অ্যাকাউন্ট খুলে রাখলে যারা যারা যারা ডাটা এন্ট্রি করে নিবে তা নক দিবে। আপনাকে তাদের অর্ডার নিয়ে কাজ করে দিতে হবে। এভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার ক্লায়েন্ট সংখ্যা বেড়ে যাবে তখন আপনি অন্য ক্লায়েন্ট দিয়েকাজ করে ডেলিভারি দিতে পারেন।
ওয়েবসাইট তৈরির ব্যবসা
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় দুই মিলিয়ন ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইটের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ওয়েবসাইট তৈরি করছে। অনেক ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট তৈরি করছে। শুধু প্রতিষ্ঠানই নয় অনেক ব্যক্তি পর্যায়ে ও প্রচুর ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে।
অনেকেই এসব ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে না। মিনা পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা করার জন্য আপনার কোন খরচ করতে হয় না বাড়িতে বসে আপনার কম্পিউটার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ করতে পারবেন।
শেষ কথা
বিনা পুঁজিতে ব্যবসা আসলে একবারেই টাকা লাগবে না এমনটা নয়। সবকিছুতে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়। এখানেও লাগবে যেমন ইন্টারনেট বিল ।ওয়েবসাইট তৈরি খরচ। ভিডিও বানাতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন হতে পারে এজন্য আপনার ফোন অথবা ক্যামেরা কিনতে হতে পারে। এখানেও টাকা লাগবে। পরিশেষে প্রিয় পাঠক যখন আপনি ব্যবসা টাকা বর্জন করতে পারবেন তখন এই টাকা আপনার কাছে সামান্য মনে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url