গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের খাবার তালিকা-পুষ্টিগুণ
একজন মহিলা যখন মা হন তখন তার সবকিছুতেই পরিবর্তন আসে। সব সময় ভয়ে থাকে এই সময় কি খাওয়া
হবে কি খাওয়া হবে না সেই নিয়ে। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস যে খাবার খাওয়া খুবই জরুরী সেই তিন
মাসের খাবারের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো।
গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায়কি কি শাকসবজি খাবেন
গর্ভাবস্থায় যেসব প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন
শেষ কথা
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাসের খাবার তালিকা-পুষ্টিগুণ
ভূমিকাগর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায়কি কি শাকসবজি খাবেন
গর্ভাবস্থায় যেসব প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন
শেষ কথা
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানব গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকা নিয়ে। আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড, গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায়কি কি শাকসবজি খাবেন, গর্ভাবস্থায় যেসব প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।গর্ভাবস্থায় ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিড বলতে সাধারণত ভিটামিন বি কে বোঝায়,যা শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর কর্ড সঠিকভাবে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০ মাইক্রগ্রাম ফলিক এসিড গ্রহণ করেন। তবে এটি শিশুর জন্মগত ক্রটি অনেকটাই কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। বেশিরভাগ জন্মগত ত্রুটি জন্মের প্রথম মাস থেকে শুরু হয়।
তাই আপনি যখন সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করবেন অবশ্যই প্রথম থেকেই ফলিক অ্যাসিড
খাওয়াবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে সন্তান নেওয়ার অন্তত ১মাস আগে থেকে ফলিক অ্যাসিড বড়ি
খাওয়া উচিত।প্রথম তিন মাস এটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। ফলিক অ্যাসিড যেসব খাবারে
বিদ্যমান সেসব খাবার হল, সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি,গাজর, মটরশুঁটি ফলের মধ্যে পেঁপে
,কমলা আঙ্গুর, এবং স্ট্রবেরির মতো ফলগুলিতেও ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
কলাঃ কলা ফলিক অ্যাসিড সরবরাহ করে যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও করাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের আয়রনও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যোগায়।
কমলাঃ ফাইবার আর ফলিক এসিডের উৎস হল কমলা যা মেরুদন্ড ও মস্তিষ্কে গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কমলা।
আপেলঃ যদি একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন একটা করে আপেল খান। তবে এটি তার শিশুর জন্য এলার্জি ও হাঁপানি থেকে মুক্তি পায়। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যা হিমোগ্লোবিনের যোগান দেয়। গর্ভাবস্থায় তিন মাসের খাবার তালিকায় এই সমস্ত ফল থাকা খুবই জরুরী।
ব্রকলিঃ ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি,এবং কে যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করে।
মটরশুঁটিঃ মটরশুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক,মূলা শাক লালশাক ইত্যাদি শাকসবজি গর্ভাবস্থায় খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিমঃ ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন 12 এর উৎস ভিটামিন এ যা চোখের সমস্যা দূর করে। ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করেতে সাহায্য করে।ভিটামিন 12 যা স্নায়ুকে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
মাছঃ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি ১২, পটাশিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস,ক্যালসিয়াম,আয়রন,আয়োডিন,থায়ামিন ইত্যাদি।
মাংসঃ মাংস তে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, পটাশিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, রিবোফ্লোবিন, থায়ামিন ইত্যাদি যা মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
যখন একজন মহিলার গর্ভবতী হন তখন তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুকে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন প্রায় তাকে অতিরিক্ত 300 ক্যালোরি প্রয়োজন হয়। আর এসব ক্যালরি আসে বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি থেকে, প্রিয় পাঠক আমরা জানব গর্ভাবস্থায়কি কি ফল খাওয়া উচিতকলাঃ কলা ফলিক অ্যাসিড সরবরাহ করে যা গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও করাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরের আয়রনও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যোগায়।
পাকা পেঁপেঃ পেঁপেতে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠন ও ওজনের ঝুকি
কমায়। এছাড়াও পেঁপেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে দোষ কে ক্ষতির হাত
থেকে রক্ষা করে।
কমলাঃ ফাইবার আর ফলিক এসিডের উৎস হল কমলা যা মেরুদন্ড ও মস্তিষ্কে গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কমলা।
আপেলঃ যদি একজন গর্ভবতী মহিলা প্রতিদিন একটা করে আপেল খান। তবে এটি তার শিশুর জন্য এলার্জি ও হাঁপানি থেকে মুক্তি পায়। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যা হিমোগ্লোবিনের যোগান দেয়। গর্ভাবস্থায় তিন মাসের খাবার তালিকায় এই সমস্ত ফল থাকা খুবই জরুরী।
কি কি শাকসবজি খাবেন
একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হন তখন তাকে ভালো ভালো খাবার খেতে হয়। আর গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাবারে অবশ্যই শাক-সবজি থাকা জরুরি। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই খারাপ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রচুর শাকসবজি খাওয়া খুবই জরুরী কারণ শিশুর বৃদ্ধি এবং মাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে শাকসবজি।প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যেসব শাক সবজি রাখবেন তা হল
মিস্টি আলুঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি যা গর্ভাবস্থায়
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রকলিঃ ব্রকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি,এবং কে যা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর করে।
মটরশুঁটিঃ মটরশুটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক,মূলা শাক লালশাক ইত্যাদি শাকসবজি গর্ভাবস্থায় খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় যেসব প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাবার তালিকায় শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদির পাশাপাশি থাকা উচিত প্রোটিনযুক্ত খাবার। ডিম,মাংস,মাছ মটরশুঁটি এবং পাঁচমিশালি ডালের মতো প্রচুর প্রোটিনযুক্ত খাবার শিশু মস্তিষ্ক গঠনে ও গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই জরুরী।ডিমঃ ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন 12 এর উৎস ভিটামিন এ যা চোখের সমস্যা দূর করে। ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করেতে সাহায্য করে।ভিটামিন 12 যা স্নায়ুকে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
মাছঃ মাছে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি ১২, পটাশিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস,ক্যালসিয়াম,আয়রন,আয়োডিন,থায়ামিন ইত্যাদি।
মাংসঃ মাংস তে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন বি সিক্স ভিটামিন ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, পটাশিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, আয়োডিন, রিবোফ্লোবিন, থায়ামিন ইত্যাদি যা মা ও শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url