ঘন ঘন জ্বর ও জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আজকে আমি আলোচনা করব ঘন ঘন জ্বর কেন হয় ঘন ঘন জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে। চিকিৎসকরা বলে থাকেন জ্বর আসলে কোন রোগ নয়।
এটি একটি উপসর্গ লেউকোমিয়া পাকস্থলীর সমস্যা এমনকি ক্যান্সারের ফলেও এ জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।ক্যান্সারের বেশ কিছু উপসর্গ অত্যন্ত সাধারণ শারীরিক সমস্যা সর্দি কাশি জ্বরের মত হয়।ঘন ঘন জ্বরের আড়ালে থাকতে পারে যে কোনো প্রানঘাতি রোগ। জ্বরের বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এটি একটি উপসর্গ লেউকোমিয়া পাকস্থলীর সমস্যা এমনকি ক্যান্সারের ফলেও এ জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।ক্যান্সারের বেশ কিছু উপসর্গ অত্যন্ত সাধারণ শারীরিক সমস্যা সর্দি কাশি জ্বরের মত হয়।ঘন ঘন জ্বরের আড়ালে থাকতে পারে যে কোনো প্রানঘাতি রোগ। জ্বরের বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- মূল কথা
- ঘন ঘন জ্বর হওয়ার লক্ষন কি
- ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় উপায়
- ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি
- কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়
- ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার কারণ কি
- শেষের অংশ
মূল কথা
আজকের আলচ্য বিষয়: ঘন ঘন জ্বর কেন হয় জ্বরের লক্ষণ। প্রিয় পাঠক, আলোচনায় প্রথম অংশে যা যা থাকছে ,ঘন ঘন জ্বর হওয়ার লক্ষন কি, ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয়
উপায়, ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি, কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়,
ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার কারণ কি ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।প্রিয়
পাঠক, ঘন ঘন জ্বর কেন হয় জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো
আর্টকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ঘন ঘন জ্বর হওয়ার লক্ষন কি
ঘন ঘন জ্বরের লক্ষণ গুলি একটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা পরিবর্তনের সাথে
সম্পর্কিত ।এটি সাধারনত শুরু হয় শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর
ফলে।স্বাস্থ্যকর জীবন ধারার কাজে বাড়তি সময় প্রয়োজন হয় । জ্বরের এই অবস্থা
সাধারনভাবে মূল্যায়ন করা হয় থার্মোমিটার ব্যবহার করে সাধারনভাবে জ্বর হওয়ার
আগে একটি ব্যক্তি ইহা অনুভব করতে পারে ।যেমন শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া মাংস পেশী
বা হাড়ে ব্যথা অনুভব,শীতলতা ইত্যাদি অনুভব হয়।
অধিকাংশ জ্বর শরীরের অস্বাভাবিক অবস্থা নির্দেশ করতে পারে এবং এটি যেকোনো
অসুস্থতার লক্ষণ হতেপারে। জ্বরের আরো কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট
বা শ্বাস নেওয়ার সময় সমস্যা মাথা, শরীরে ব্যথা ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি। ঘন ঘন
জ্বর হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো উচ্চ তাপমাত্রা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের
চেয়ে বেড়ে যাওয়া। শারীরিক অসুস্থতা শরীরের ব্যথা অসুস্থ অনুভূতি অস্বাভাবিক
দুর্বলতা কাশি এবং সর্দি জ্বরের সাথে সম্পর্কিত এটি জ্বর হওয়ার মৌলিক লক্ষন।
ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় কি
যে কোনো মৌসুমি রোগ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রচুর
পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় দ্রব্যে পান করার। এর সাধারন কারণ হলো জ্বরের কারণে
তাপমাত্রা বাড়লে শরীর দ্রুত পানি শূন্যতার দিকে যেতে থাকে। তাই পর্যাপ্ত পানি
প্রান করা এখানে অত্যন্ত জরুরি। কুসুম গরম পানি,ফলের শরবত, ডাবের পানি, চা- যে
কোনো তরল খাবারেই বাধা নেই। সর্দি-জ্বর থাকলে প্রতিদিনের লক্ষ্য হবে আট থেকে ১0
গ্লাস পানি পান করা।
আর বেশি তরল পান করলে শরীর থেকে জীবাণু ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যাওয়া
সহজ হয়। ঘন ঘন জ্বর হলে আমরা সব সময় চেষ্টা করব কুসুম কুসুম গরম পানি পান করার
। গরম পানি পান করার মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে অনেক জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান
বেরিয়ে যায়।
তার পরবর্তীতে আমরা প্রচুর পরিমাণ বিশ্রাম নেব।অসুস্থ অবস্থায় যত
বেশি সক্রিয় থাকবেন ততই আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। তাই বিশ্রামে থাকলে
তাপমাত্রা কমবে এবং রোগমুক্তি হবে দ্রুত। মৌসুমি সর্দি-কাশি, জ্বর সরাতে ওষুধ
সবসময় প্রয়োজন না হলেও জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেন হাইট বা তারও বেশি হলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে রাখা নিরাপদ।
জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে থাকা, বমি ইত্যাদি উপসর্গ
থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। কপাল এবং ঘাড়ের পেছনের অংশে জলপট্টি
দেওয়া জ্বর কমাতে অত্যন্তকার্যকর। পুরোদস্তুর গোসলের পরিবর্তে কুসুম গরম পানিতে
ভেজানো কাপড় দিয়ে শরীর মোছাও দ্রুত জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
চিকিৎসকের অনুমতি
ছাড়া জ্বর নিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না। ঘন ঘন জ্বর হলে আমাদের অনেক
কিছু বর্জন করতে হবে কোনমতেই ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না ঠান্ডা কোন কিছু
খাওয়া যাবেনা ইত্যাদি।আপনি যদি এইসব নিয়ম গুলি মেনে চলতে পারেন তাহলে আশা করা
যায় আপনি ঘন ঘনজ্বর থেকে মুক্তি পাবেন।
ঘন ঘন জ্বর আসার কারণ কি
অনেক চিকিৎসকরা বলেন জ্বর আসলে একটি রোগ নয় এটি একটি উপসর্গ। বিভিন্ন ধরনের
মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে। শরীর দুর্বল থাকলে ঘন ঘন জ্বর
হতে পারে।মোষ্ট কমনভাবে, জ্বরের কারণ হতে পারে একটি ইনফেকশন, যেমনঃ ভাইরাস বা
ব্যাকটেরিয়া। এটি কোয়ার্টাইনে থাকা সাধারিত ইনফেকশন থেকে হতেপারে, যেমনঃ
স্নায়ুজড়ি ইনফেকশন, হাম, ডেঙ্গু, জীবাণু বা ভাইরাল ইনফেকশন।
অনেক সময় বায়োলজিকাল কারণ ছাড়াও, এলার্জি বা উচ্চ অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার
ফলেও জ্বর হতে পারে।কোনও অতিরিক্ত শারীরিক শ্রম অথবা অশোকচীর একটি সংস্করণের
সময়ে, সাধারিত হতে ব্যবহৃত জীবাণুগুলি দ্বারা ইনফেকশনের হারমোনগুলি প্রসারিত
হতে পারে এবং এটি জ্বরের কারণ হতে পারে।একটি উচ্চ তাপমাত্রার অবস্থা, শারীরিক
দৌড় এবং শক্তির অভাব এবং অতিরিক্ত শারীরিক শ্রম বা কার্যক্ষমতা অধিক সময়
জোরসারি এর কারনেও জ্বর হতে পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘন ঘন জ্বর হয়
ভিটামিন সি এর কারণে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে।ভিটামিন C রক্তে হেমোগ্লোবিন তৈরির
জন্য প্রয়োজন, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি
ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে দেয় এবং ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে
লড়াই করে ।ভিটামিন C-এর অভাব থাকলে ঘন ঘন জ্বর হতে পারে ভিটামিন D শরীরে
ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস অবস্থান করার জন্য প্রয়োজন, যা হাড়ের উপাদান।
এটি শরীরে মোজা অনুভব করতে পারে এবং সম্পৃক্ত হতে শারীরিক অসুস্থতা এবং জ্বর
হতে পারে। ভিটামিন B কমপ্লেক্স, যেমন B1 (থায়ামিন), B2 (রিবোফ্লেভিন), B3
(নিয়াসিন), B6 (পাইরিডক্সিন), এবং B12 (কবালামিন) রক্ত প্রসারিত করতে সাহায্য
করে। এই ভিটামিনের অভাব থাকলে শরীর অসুস্থ হতে পারে এবং জ্বর হতে পারে।
ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসার কারণ কি
জ্বর মানুষের জীবনে খুব স্বাভাবিক একটা অসুস্থতা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে
যে, জ্বর আসলে কিন্তু খুব সাধারণ বিষয় নয়।জ্বর আমাদের শরীরের কোথাও কোন
ইনফেকশন বা সংক্রমণ জটিলতার কারণে হয়ে থাকে। সেটা ছেড়ে ছেড়ে ই আসুক কিংবা
টানা না ছেড়ে ই আসুক। ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসা অনেক বড় বড় অসুস্থতার পূর্ব
লক্ষণ। দীর্ঘদিন যদি এমন ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসে কারো, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।অবহেলো করা যাবে না।
কারন সময়ের একফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। তবে কোনো ভাবেই আন্দাজে ওষুধ খাওয়া
যাবে না।চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে।আমাদের অনেকের ধারণা
রাতে রাতে জ্বর আসলেই নাকি জ্বরঠোসা হয়। আসলে কতটুকু সত্যি তা আমরা আজকের লেখা
থেকে জানতে চেষ্টা করবো। জ্বরঠোসা সত্যিকারে শুধুমাত্র জ্বরের কারণে হয়ে থাকে
না। এর একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। আজকে এটি সম্পর্কে আমরা জানাবো।ঠোটের
কোণায় কিংবা বর্ডারে একগুচ্ছ ফুসকুড়ি। সাধারণভাবে আমরা একে বলে থাকি জ্বরঠোস,
জ্বর-ঠোসা বা জ্বরঠুঁটো।
এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলেন। প্রকাশ পাবার ২-৩ দিনের
মধ্যে ব্লিস্টারে ব্যথা অনুভব হলে তখন একে বলা হয় কোল্ড সোর। ঠোটের কোণে,
বর্ডারে বা বর্ডারের আশে পাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি, জ্বর, ব্যথা, বমিভাব কিংবা
বমি, মাথা ব্যথা।কেন হয়: সাধারণভাবে আমরা মনে করি জ্বর আসার লক্ষণ হিসেবে এই
ফুসকুড়ি উঠেছে।
আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে HSV-1 ইনফেকশন। এই
ইনফেকশনের কারণেই জ্বর আসে! তবে হ্যাঁ,জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে
যদি সেই জ্বর অন্যকোন ইনফেকশনের কারণে হয় যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে
দুর্বল করে দেয়।আমাদের ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসলে আমরা অবহেলা না করে খুব দ্রুত
ডাক্তারের পরামর্শ নিবো।
শেষের অংশ
আজকের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন ঘন ঘন জ্বর কেন হয়। ঘন ঘন জ্বরের লক্ষন
ও প্রতিকার গুলো কি কি ।আশাকরি আজকের এই আর্টিকেলটি উপকারে আসবে। আরো তথ্যমূলক
আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url