সপ্তম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ
প্রিয় দর্শক আজকের আলোচ্য বিষয় সপ্তম শ্রেণীর শরীর থেকে শরিফা গল্প নিয়ে। কি আছে ক্লাস সপ্তম শ্রেণীর বইয়ে। এটাকে কেন মুসলিম স্কলাররা সমকামীতার এক অন্যরূপ বলে ধারণা করছে। কেনই বা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হলো।
কি এমন বলেছিলেন তিনি। এটা নিয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলে গেছেন। সম্মানিত ভিউয়ার্স সপ্তম শ্রেণীর শরীর থেকে শরিফা গল্পে ঠিক কি হয়েছিল কিভাবে এটা সমকামিতায় রূপ নিল এ সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক, সপ্তম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কি এমন বলেছিলেন তিনি। এটা নিয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলে গেছেন। সম্মানিত ভিউয়ার্স সপ্তম শ্রেণীর শরীর থেকে শরিফা গল্পে ঠিক কি হয়েছিল কিভাবে এটা সমকামিতায় রূপ নিল এ সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক, সপ্তম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ সপ্তম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ
- প্রথম অংশ
- শরীফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প
- শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ
- কি কারনে চাকরি ছাড়তে হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষককে
- শেষ অংশ
প্রথম অংশ
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয় সপ্তম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার গল্পের সমকামিতার এক অন্যরূপ। আলোচনা প্রথম অংশ যা যা থাকছে। শরীফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প। শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ।মুসলিম স্কলাররা এটা নিয়ে কি ভাবছেন।কি কারনে চাকরি ছাড়তে হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষককে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব প্রিয় পাঠক এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শরীফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প
বর্তমানে শরিফ শরিফা গল্প নিয়ে সারা দেশ তোলপাড় কি আছে শরীফ শরিফা গল্পে চলুন জেনে নি।
সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সমাজের বিজ্ঞান বই এর ৩৯ ও ৪০ পৃষ্ঠায় রয়েছে শরিফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্প। এখানে যা লেখা হয়েছে তা নিম্নে দেওয়া হলঃ
ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো। কিন্তু আমি নিজে একসময় বুঝলাম আমার শরীরটা ছেলের মত হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে। আমি মেয়েদের মতো পোশাক পরতে ভালোবাসতাম। কিন্তু বাড়ির কেউ আমাকে পছন্দের পোশাক কিনে দিতে রাজি হতো না। বোনদের সাজবার জিনিস দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সাজতাম।
ধরা পড়লে বকাঝকা এমনকি মারও জুটত কপালে। মেয়েদের সাথে খেলতেই আমার বেশি ইচ্ছা করতো। কিন্তু মেয়েরা আমাকে খেলায় নিতে চায়তো না। ছেলেদের সঙ্গে খেলতে গেলেও তারা আমার কথাবার্তা চালচলন নিয়ে হাসাহাসি করত। স্কুলের সবাই পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি বাড়ির লোকজন ও আমাকে নিয়ে ভীষণ অবহেলা করত। আমি কেন এরকম এই কথা ভেবে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হতো, নিজেকে ভীষণ একা লাগত।
একদিন এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো যাকে সমাজের সবাই মেয়ে বলে কিন্তু সে নিজেকে ছেলে বলেই মনে করে। আমার মনে হল এই মানুষটাও আমার মতন। সে বলল আমরা নারী বা পুরুষ নই আমরা হলাম তৃতীয় লিঙ্গ (থার্ড জেন্ডার)। সেই মানুষটা আমাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেল সেখানে নারী-পুরুষের বাইরে আরো নানা রকমের মানুষ আছে। তাদের বলা হয় 'হিজড়া' জনগোষ্ঠী। তাদের সবাইকে দেখে শুনে রাখেন তাদের 'গুরু মা'।
আমার সেখানে গিয়ে নিজেকে আর একলা লাগলো না, মনে হলো না যে আমি সবার চাইতে আলাদা। সেই মানুষগুলোর কাছে থেকে গেলাম। এখানকার নিয়ম-কানুন ভাষারীতি নিতে আমাদের বাড়ির চেয়ে অনেক আলাদা। আমরা সবাই সবার সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়ে একটা পরিবারের মতনই থাকি। বাড়ির লোক জনের জন্য খুব মন খারাপ হয়। তাই মাঝে মাঝে বাড়িতেও যাই। আজ থেকে ২০ বছর আগে বাড়ি ছেড়েছি।
সেই থেকে আমি আমার নতুন বাড়ির লোকদের সঙ্গে শহরে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে নতুন শিশু, নতুন বর-বউকে আশীর্বাদ করে টাকা রোজগার করি। কখনো কখনো লোকের কাছে টাকা চেয়ে সংগ্রহ করি। আমাদেরও ইচ্ছা করে সমাজে আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন কাটাতে, পড়াশোনা, চাকরি-ব্যবসা করতে। এখনো বেশিরভাগ মানুষ আমাদের সাথে মিশতে চায় না। যোগ্যতা থাকলে চাকরিতে দিতে চাই না, যোগ্যতা থাকলেও কাজ দিতে চায় না।
তবে আজকাল অনেক মানুষ আমাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। ইদানিং আমাদের মত অনেক মানুষ নিজ বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছে। আমাদের মত মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। অনেক দেশে তারা সমাজের বাকি মানুষের মত জীবন কাটায়। তবে আমাদের দেশের অবস্থার ও বদল হচ্ছে। ২০১৩ সালে সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য কাজ করছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রচেষ্টা নিচ্ছে। নজরুল ইসলাম ঋতু, শাম্মিরানি চৌধুরী বিপুল বর্মনের মত বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীর অনেক মানুষ সমাজ জীবনে এবং পেশাগত জীবনে সাফল্য পেয়েছে।
কি কারনে চাকরি ছাড়তে হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষককে
(১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইল 'ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স' এ আয়োজিত বর্তমান কারিকুলাম নিয়ে নতুন পাঠ্যপুস্তক বাস্তবতা ও ভবিষ্যত শীর্ষক সেমিনারের অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। উক্ত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন সপ্তম শ্রেণীর পাঠকের ট্রান্সজেন্ডার গল্প ঢুকে শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। এই সময় তিনি এই পাঠ্য বই থেকে শরীফ থেকে শরিফা হওয়ার গল্পের পাতা ছিড়ে ফেলেন। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে আসিফ মহাতাবের এমন কর্মকান্ড ব্লাক বিশ্ববিদ্যালয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ
শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ বলে ধারণা করছেন লোক জনরা। এই গল্পটাকে প্রাধান্য দেওয়া মানে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে সমকামিতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা করছেন।ছোট ছোট বাচ্চা তারা জানেনা সমকামিতা কি। যেখানে এটা ইসলাম ধর্মে নিষিদ্ধ সেখানে কেন ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এটা বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে সমাজে সমকামিতা বিস্তার করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমকামিতাকে লানত করেছেন। অভিশাপ দিয়েছেন পুরুষ রুপি মহিলা অথবা মহিলা রুপি পুরুষ দের কে। এছাড়া বিভিন্ন হাদিস শরীফে এসেছে আল্লাহ তা-আলা বলেন যে ব্যক্তি একবার সমকামিতা করবে সে গোসল করার পরও অপবিত্র থাকে। আর এটা নিয়েই ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম সমস্ত মাধ্যমে এই গ্নল্পটাকে না বলেছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন বইয়ের পাতা ছিড়ে।
শেষ অংশ
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল, সপ্তম শ্রেণীর শরীফ থেকে শরিফা গল্পে সমকামিতার অন্যরূপ নিয়ে। উপরি উক্ত বর্ণনায় আমি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। (ধন্যবাদ)
নিত্য নতুন এরকম পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন এবং google news ফলো করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url