দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও দূর করার ঘরোয়া উপায়
দাঁত মানুষের একটি অমূল্য সম্পদ।মানুষের দাঁত যদি সুন্দর না হয় তাহলে সেই মানুষের মধ্যে কি যেন একটি নেই মনে হয়। দেখতে কেমন জানি অদ্ভুত লাগে। ফাঁকা দাঁতের কারণে অনেকে হাসতে ভয় পায়।
আজকের এই আর্টিকেলে আমি দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক, ঘরোয়া উপায়ে দাঁত ফাঁকা রোধ করতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমি দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রিয় পাঠক, ঘরোয়া উপায়ে দাঁত ফাঁকা রোধ করতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও দূর করার ঘরোয়া উপায়
- প্রথম অংশ
- দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ
- দাঁতের ফাঁক দূর করার ঘরোয়া উপায়
- সামনের দাঁত ফাঁকা কেন হয়
- সামনের ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসার খরচ
- আঁকাবাঁকা দাঁত সমান করার উপায়
- শেষ অংশ
প্রথম অংশ
সম্মানিত ভিউয়ার্স, আজকের আলোচ্য বিষয় দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও দূর করার ঘরোয়া উপায়। আলোচনার প্রথম অংশ যা যা থাকছে। দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ। দাঁতের ফাঁক দূর করার ঘরোয়া উপায়। সামনের দাঁত ফাঁকা কেন হয়। সামনের ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা খরচ। আঁকাবাঁকা দাঁত সমান করার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। এই সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ
দাঁত বিভিন্ন কারণে ফাঁকা হতে পারে। তবে এর প্রধান কারণ হতে পারে বংশগত বা জেনেটিক।
জন্মের পর সাধারণত ফাঁকা দাঁত দেখা যায় না। এটি সাধারণত দুধ দাঁত উঠে যাওয়ার পর দেখা যায়।দুধ দাঁত যখন উঠে যায়, তখন জিহ্বা দিয়ে বারবার নাড়ানো বা কোন শক্ত কাঠি দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। ছোটবেলায় দুষ্টুমির ছলে বা ভুল করে শক্ত কিছু জিনিসপত্র চাবানোর কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যায়।
দাঁতের ফাঁক দূর করার ঘরোয়া উপায়
বর্তমান সময়ে দেখতে গেলে প্রায় সব মানুষেরই সামনের দিকের দাঁতের ফাঁকা রয়েছে। আর এটা নিয়ে মানুষের চিন্তার শেষ নেই। কিভাবে দাঁতের ফাঁকা দূর করা যাই। প্রিয় পাঠক, দাঁতের ফাঁকা দূর করার জন্য এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
১। অনেকেই আছেন বারবার দাঁত ব্রাশ করেন প্রয়োজনের বেশি দাঁত ব্রাশ করার কারণে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
২।দাঁত ব্রাশ করার সময় খেয়াল রাখবেন ব্রাশটি যেন সফট হয়। বাজারে অনেক ধরনের কম দামে শক্ত ব্রাশ পাওয়া যায়। আর এই সমস্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার কারণে দাঁতের ফাঁকের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।
৩। দাঁত ফাকা রোধ করতে আপনি চাইলে ডেন্টাল ফ্লোস ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে দাঁতের লেগে থাকা বিভিন্ন ধরনের খাবার বের করতে পারবেন। এটি এক ধরনের প্লাস্টিকে সুতা।
৪। খাবার পর খার জাতীয় ভালো মানের টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এতে করে দাঁতের মধ্যে লেগে থাকা খাবার নষ্ট করবে দাঁতকে জীবানু মুক্ত রাখবে।
৫। এছাড়াও কারো যদি সামনের দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা হয়। তবে সে এই পরামর্শটি ফলো করতে পারে। রাবার দিয়ে দুই দাঁতের সাথে সংযুক্ত করে নিয়মিত প্রতি রাতে বেধে রাখতে হবে। এতে করে আস্তে আস্তে ফাঁকা দাঁত দূর করতে পারবেন।
সামনের দাঁত ফাঁকা কেন হয়
সামনে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা নিয়ে ভাবছেন? অনেকে আবার ফাঁকা দাঁতের কারণে হাসতে ভয় পায়। সামনের দাঁত ফাঁকা কেন হয়? এর কারন বা কি এই সমস্ত সমাধান নিয়ে আজকের এই পোস্টটি। প্রিয় পাঠক, সামনের দাঁত ফাঁকা কেন হয় জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দাঁত হচ্ছে মানুষের একটি অমূল্য সম্পদ। সামনে দুই দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা এটা সাধারণত বংশগত হয়ে থাকে। এছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে দাঁতের ফাঁক আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। এছাড়াও ছোটবেলার কোন ভুলের কারণে দাঁত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
সামনের ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসার খরচ
বর্তমান যুগ বিভিন্ন টেকনোলজি বা বলা যেতে পারে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। বর্তমান সময়ে অনেক পদ্ধতির মাধ্যমে ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করা যেতে পারে তবে দুইটি চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
- ব্রেসেস পদ্ধতি
- কম্পোজিট ভিনিয়ার
ব্রেসেস পদ্ধতি
ব্রেসেস পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে প্রায় সময় লাগে ৬ মাসের মত। এই পদ্ধতিতে সাধারণত দাঁতের উপর এক ধরনের ব্রেসেস বসানো হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে যত রকমের দাঁতের সমস্যা রয়েছে যেমনঃ আঁকাবাঁকা দাঁতের মাঝখানে ফাঁকা, উঁচু, দাঁত ইত্যাদি সমস্যা গুলোর সমাধান করা যায়। তবে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে।
কম্পোজিট ভিনিয়ার
এই পদ্ধতি টি হচ্ছে বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যেই দাঁতের ফাঁকা দূর করা যায়। আর সময়ও খুব অল্প লেগে। চিকিৎসা করতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। কম্পোজিট পদ্ধতিতে চিকিৎসা খরচ খুব কম হয়ে থাকে। তিন থেকে চার হাজার টাকা হলে এর চিকিৎসা করা যায়। তবে এর স্থায়িত্ব ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আঁকাবাঁকা দাঁত সমান করার উপায়
আঁকাবাঁকা দাঁতের ক্ষেত্রে দাঁত সমান করার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মুখের খুবই পরিচিত সাধারণ একটা সমস্যা হচ্ছে আঁকাবাঁকা দাঁত। আঁকাবাঁকা দাঁতের কারণে যেমন মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তেমনি এর পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও রয়েছে। এর জন্য আপনাকে ওপিজি এক্স-রে সেফালোম্যাট্রি করা দরকার। ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষে এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ দন্তের চিকিৎসক বা অর্থ ডেন্টিস্ট। এই চিকিৎসার সমাধান দুই ভাবে করা যায়।
- রিমুভাল অ্যাপ্লায়েন্স পদ্ধতিতে
- ফিক্সড অ্যাপ্লায়েন্স বসিয়ে
রিমুভাল অ্যাপ্লায়েন্স পদ্ধতিতে
রিমুভ অ্যাপ্লায়েন্স পদ্ধতিতে প্রথমে রোগীর দাঁত সহ চোয়ালের মাপ নেওয়া হয়। পরে ডেন্টাল ল্যাবরেটরিতে রিমুভাল অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি করে রুগীকে পাঠানো হয়। এরপর রিমুভাল অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করে রোগীর চিকিৎসা করা হয়।
ফিক্সড অ্যাপ্লায়েন্স বসিয়ে
এই পদ্ধতিতে প্রথমে রোগীর দাঁতের ফিক্সড অ্যাপলাইন্স বসিয়ে নেওয়া হয়। পরে সময় নিয়ে ফিক্সড অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করে দাঁত গুলো সুন্দর করে সাজানো হয়।
শেষ অংশ
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আমি দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ ও দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যাদের সামনের দুই দাঁত ফাঁকা, আঁকাবাঁকা , উঁচুনিচু দাঁত ইত্যাদি এইরকম সমস্যা আছে তারা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলেএই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। দাঁতের সঠিক চিকিৎসা কি কারনে দাঁত ফাঁকা হয় এরকম অনেক বিষয় নিয়ে আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় পাঠক পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য (অসংখ্য ধন্যবাদ)।
নিত্য নতুন এরকম পোস্ট পেতে পাশে থাকা google নিউজটি ফলো করুন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url