বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ কবে কোথায়- বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস

বিশ্ব তাবলীগ জামায়াতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বা উৎসব বিশ্ব ইজতেমা। প্রতিবছর প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হয় এই ইজতেমা।এটি তাবলীগ জামায়াতের বৈশ্বিক সমাবেশ।যা বাংলাদেশের টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত বা অনুষ্ঠিত হয়।

 আজকের আলোচ্য বিষয় বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ ।বিশ্ব ইজতেমা কবে শুরু হচ্ছে, বিশ্ব ইজতেমা ইতিহাস। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ কবে কোথায়- বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস

  • প্রথম অংশ
  • বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪
  • বিশ্ব ইজতেমা কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে
  • বিশ্ব ইজতেমা কেন বাংলাদেশে হয়
  • বিশ্ব ইজতেমাতে কত জন লোক হয়
  • বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস
  • শেষের অংশ

প্রথম অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪। আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, বিশ্ব ইজতেমা কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে।বিশ্ব ইজতেমা কেন বাংলাদেশে হয়।বিশ্ব ইজতেমাতে কত জন লোক হয়।বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস । প্রিয় পাঠক, এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে ও পড়তে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ এর আর মাত্র বাকি ৮ দিন। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিশ্ব ইজতেমার তোড়জোড়। বিশ্ব তাবলীগ জামায়াতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বা উৎসব বিশ্ব ইজতেমা। এই ইজতেমায় দূর দূরান্ত থেকে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশের তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনের কারণে উর্দু ভাষার বয়ানের পাশাপাশি বাংলা ও আরবি ভাষায় তরজমা করা হয়।

বিশ্ব ইজতেমা কবে কোথায় অনুষ্ঠিত হবে

গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪ এর বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ঘোষণা পেশ করেন সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, তাবলীগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হওয়ার মূল কারণ

ভারতের বিখ্যাত মাওলানা ও তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানাদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আর এর পর থেকেই ইজতেমাটি ২ পর্বে ভাগ করা হয়।

বিশ্ব ইজতেমা কেন বাংলাদেশে হয়

ইতিহাস অনুসারে মাওলানা ইলিয়াস কান্ধলভি (রুহ) এর হাত ধরে ১৯২৭ সালে উপমহাদেশে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের সূচনা করেন। মাওলানা আব্দুল আজিজ এর মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশের তাবলীগের কাজ শুরু করা হয়। আর তাবলীগ জামায়াতের কাজ আস্তে আস্তে যখন প্রসার লাভ করে। আর তখনই তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের এলাকা ভিত্তিক সম্মেলনের সূচনা করেন মাওলানা ইলিয়াস (রহ)। 

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর দুইটি দেশ পাকিস্তান ও ভারতের সম্মিলিত ইজতেমার অধ্যাপক। বাংলাদেশের কাকরাইল ভারতের ভূপাল এবং পাকিস্তানের রাজধানী ইজতেমার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মীয় সামাজিক ও পারস্পরিক অন্যান্য কারণে প্রথম থেকে বাংলাদেশের আয়তন বেশি ছিল। আর এই কারণেই বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমার প্রাধান্য লাভ করে।

বিশ্ব ইজতেমাতে কত জন লোক হয়

বিশ্ব তাবলীগ জামায়াতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বা উৎসব বিশ্ব ইজতেমা। ১৯৭২ সাল থেকে বর্তমান অবধি বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদীর উত্তর পূর্ব তীর সংলগ্ন ডোবা নালা ও উঁচু নিচু মিলিয়ে রাজ উকের হুকুম দখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরই বাংলাদেশের প্রতিটি কোনায় থেকে মানে গ্রাম গঞ্জ শহরাঞ্চল থেকে লাখ, লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি দেশের তাবলীগ দ্বীনদার মুসলমান জামাত সহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মুসল্লি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস

১৯৪০ দশকের শেষের কথা। চট্টগ্রামের সমুদ্র বন্দর দিয়ে হজে যাওয়ার জন্য মানুষ বন্দরে একত্রে হতেন। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল আঞ্চলিক ভাবে ইজতেমার প্রক্রিয়াটি।বাংলাদেশে প্রথম তাবলীগের জামাত নিয়ে আসেন মুহাম্মদ ইউসুফ। তিনি ছিলেন তাবলীগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে। ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচারের কাজ করেছিলেন এই মোহাম্মদ ইউসুফ। ভারত এবং পাকিস্তান দুইটি দেশ আলাদা হওয়ার পর।

 তিনি দুই দেশের মধ্যেই জামাত পাঠানো শুরু করেন ইজতেমা আয়োজনের জন্য। এরপর ১৯৪৬ সালে বাংলাদেশের ঢাকার রমনা পার্কের কাছে কাকরাইল মসজিদ। যেটা সেই সময় খুবই পরিচিত ছিল। সেখানে ওই সম্মেলনটি হয়। তারপর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অনুষ্ঠিত হয়। আর এরপর ১৯৬৫ সালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে একটি জামায়েত নিয়ে আসে। 

তারপর ১৯৬৬ সালে ইজতেমা হয় টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের কাছে। এর পরের বছর ঠিক করা ইজতেমা হবে টুঙ্গির তুরাগ নদীর কাছে। আর কিছু বছর পর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টঙ্গীতে ১৬০ একর জমি নির্ধারণ করে দেন ইজতেমার জন্য।এরপর থেকেই বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়া শুরু হয়। তখন থেকেই বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

শেষের অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪। বাংলাদেশে কিভাবে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো। বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস। বিশ্ব ইজতেমা ২০২৪ কবে কোথায় কিভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উপরে বর্ণিত আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। (ধন্যবাদ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url