আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আমি পদ্মজা উপন্যাসটি নারী কেন্দ্রিক উপন্যাস এখানে একটি মেয়ের লড়াই সম্পর্কে লেখা হয়েছে। উপন্যাসটি লিখেছেন ইলমা বেহরোজ। গল্পের নায়িকা পদ্ম যা ছিলেন পদ্মের মতো সুন্দরী তাকে দেখে সবাই পছন্দ করতেন। এক কথায় পঞ্চাশ বছরের পুরুষকেও ভালোবাসা শেখানোর মতো ছিল তার রূপ।
সেই গ্রামের যেই ছেলেই পদ্মজাকে দেখেছে সেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এতপর একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে পদ্মজা ও আমিরের বিবাহ বাঁধনে বাঁধা পড়েন। প্রিয় পাঠক পদ্মজা ও আমিরের সেই বিবাহিত জীবনের প্রেম কাহিনী সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সেই গ্রামের যেই ছেলেই পদ্মজাকে দেখেছে সেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। এতপর একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে পদ্মজা ও আমিরের বিবাহ বাঁধনে বাঁধা পড়েন। প্রিয় পাঠক পদ্মজা ও আমিরের সেই বিবাহিত জীবনের প্রেম কাহিনী সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- প্রথম অংশ
- আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী
- আমি পদ্মজা উপন্যাস Download link
- আমি পদ্মজা উপন্যাসের বইয়ের দাম
- শেষ অংশ
প্রথম অংশ
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয় পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী নিয়ে। আলোচনার
প্রথম অংশে যা, যা থাকছে? আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী? আমি পদ্মজা উপন্যাস
Download link? আমি পদ্মেজা উপন্যাসের বইয়ের দাম ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক আমি পদ্মজা
উপন্যাসে পদ্মজা আমিরের প্রেম কাহিনী সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী
আমি পদ্মজা উপন্যাসে পদ্মজা গল্পের নায়িকা। পদ্মজা খুবই সুন্দরী
পবিত্র ভালো মেয়ে। তারা ছিলেন তিন বোন পদ্মজা, পূর্ণা, প্রেমা। তাদের মা ছিলেন
হেমতালতা।দেখতে একটু শ্যাম বর্ণের ছিলেন। দেখতে একটু শ্যাম বর্ণের হাওয়ায় তার
ইচ্ছে ছিল একটি ফুটফুটে সুন্দর সন্তান। এই জন্য যখন পদ্মজা গর্ভে আসে তখন দিনরাত
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন।আর তার প্রার্থনা শুনে উপর ওয়ালা তাকে সুন্দর
ফুটফুটে একটি মেয়ে দেন।
তার বাবা মুর্শেদ ও পদ্মজার মা হেমলতা দুজনেই শ্যাম
বর্ণের হওয়াই গ্রামবাসীরা সবাই হেমলতার দিকে আঙ্গুল তুলে বলে এই মেয়েটি তার না
অর্থাৎ হেমলতার না। এরপর থেকে পদ্মজার বাবা সে রকম পছন্দ করতেন না। ফলে অবহেলায়
বেড়ে উঠেছিলেন পদ্মজা। একদিন লিখন শাহ নামের একজন চিত্রনায়ক ও চিত্রনায়িকা
চিত্রা আসেন সেই গ্রামে শুটিং-এ শুটিং এসে পদ্মজার বাসা তাদের পছন্দ হয়। রীতিমতো
তাদের বাসাটি তারা ভাড়া করে নেন। হেমলতা ছিলেন দুঃসাহসিক ও খুবই কঠোর মনের
মানুষ। ভেতরটা ছিল খুবই নরম। সে তার মেয়ে পদ্মজাকে সব সময় চোখে চোখে রাখতেন
কখনো একা একা কোথাও বের হতে দিতেন না।
একদিন পদ্ম যার বাড়িতে একদিন লোক এসেছিলেন কিছু সবজি নিতে। পদ্মজার মা বাসায় না
থাকায় পদ্ম যা পাশে সবজি খেতে গেছিল সবজি উঠাতে সেখানে দেখা হয় যার লিখন শাহ
সাথে লিখন শাহ পদ্ম যাকে দেখেই পদ্মজাকে ভালবেসে ফেলে সে মনে মনে স্থির করে সে
পদ্মজাকেই বিয়ে করবে। পদ্মজা তখন ক্লাস টেন পড়তেন। কিছুদিন পর তার এসএসসি
পরীক্ষা সে মনে মনে ভাবে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলেই তার বাবা মাকে নিয়ে পদ্ম যার
বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে। তার কিছুদিন পরেই তাদের শুটিং শেষ হয়ে যায়।
শুটিং শেষে ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নেই এবং পদ্মজাকে একটি চিঠির মাধ্যমে সবকিছু
খুলে বলে। সেই চিঠির উত্তরে পদ্মজা লেখেন আমার মা যেটা করবে সেটাতেই আমি রাজি। এর
কিছুদিন পর হেমলতা ঢাকায় যান ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য বাড়িতে তখন ছিল
প্রেমা প্রান্ত পূর্ণ আর পদ্মজা। কিছুক্ষণ পর প্রেমা প্রান্ত পূর্ণা তার নামে
নানা বাসায় যায় কিছুক্ষণের জন্য। এর মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি চলে আসে আর সেদিনই ঢাকা
থেকে বাসায় ফিরে আমির বাসা ফেরার পথেই বৃষ্টি আসে বৃষ্টির ভেজার হাত থেকে বাঁচতে
আমির পদ্মজার বাড়িতে উঠেন। বৃষ্টি শেষ হলে কয়েকজন লোক পদ্মজার বাড়িতে উপস্থিত
হন। একলা বাড়িতে পদ্মজা ও আমিরকে দেখে তারা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করে। পদ্মজাকে
মারধর করা হয় কলঙ্কিনী উপবাদ দেওয়া হয়।
আমির বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও
কিছুতেই পেরে উঠতে পারে না। এত পর পদ্মজার মা আসে বাড়িতে পদ্মজার মা বাড়িতে
আসতেই তারা চলে যায় এবং পরের দিন বিচার সভা বসায়। বিচারে আমির পদ্মজাকে বিয়ের
প্রস্তাব দেয় এবং তাদের বিয়ে হয়। তাদের বিবাহিত জীবন ছিল খুবই সুন্দর পদ্ম যা
যেমন আমিরকে ভালোবাসতো। ঠিক তেমনি আমিরও তার জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতেন।
কয়েক বছর পর হঠাৎ রোজা জানতে তার পরিবারের সবাই নারী পাচারের সাথে যুক্ত এবং
আমির সবকিছুর লিডার। তারা অসহায় মেয়েদের ডাকাতি করে নিয়ে আসতো এবং খুব
অত্যাচার মারধর করে বিদেশে পাচার করত অথবা শ্রীলতা হানি করে মেরে ফেলে নদীতে ফেলে
দিত। সেরকমই এই অত্যাচারের শিকার হয় পদ্মজার বোন পূর্ণা।
পূর্ণাকে আমিরের ভাই
রিদয়ান ও আমিরের চাচা মিলে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে। পদ্মজা জানতে পেরে খুবই ভেঙে
পড়ে এবং মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় এদের কাউকে সে ছাড়বে না। সে খাবারের সাথে ঘুমের
ওষুধ মিশিয়ে তাদের ঘুমিয়ে এক এক করে পাঁচজন কে গাছের সাথে বেঁধে নৃশংসভাবে
হত্যা করে। এতে পদ্মজার পাঁচ বছরের জেল হয়। জেল থেকে বের হয়ে পদ্মজা তার
স্বামীর রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পত্তি সরকারের নামে করে দেয়। এতিমখানা তৈরি করে।
তার ভাসুরে রেখে যাওয়া এক সন্তান ও এতিমখানা থেকে দুটি বাচ্চা দত্তক নেয় এবং
বাকি জীবন তাদের সাথে আনন্দ করে কাটায়।
আমি পদ্মজা উপন্যাস Download link
আমি পদ্মজা উপন্যাসের সমস্ত পর্বের লিংক এখানে চাপুন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url