স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয় উপায় জেনে নিন

স্টোক রোগ , বর্তমানে দিন দিন এই রোগ বেড়েই চলেছে. প্রচন্ড তাপমাত্রা আর হাইপার টেনশনের কারণে, এই রোগটি ছোট, বড়, মাঝারি সব মানুষের মাঝেই দেখা দিতে শুরু করেছে। স্টোক রোগ থেকে বাঁচার জন্য স্টোক রোগের লক্ষণ কারণ ও স্টোক রোগ হলে করণীয় কী  জানা খুবই প্রয়োজন?
স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয়

প্রিয় পাঠক স্টোক রোগের লক্ষণ, ট্রিপ্স নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো। প্রিয় পাঠক, স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয় উপায় জানতে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয় জেনে নিন

  • প্রথম অংশ
  • স্টোক কী ?
  • স্টোক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?
  • স্টোক রোগের কারণ কি কি?
  • স্টোক রোগ হলে কি করনীয়?
  • শেষের অংশ

প্রথম অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলচ্য বিষয়, স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয়।স্টোক সাধারণ ভাষায় বলা যায় মস্তিষ্কের রক্ত চলা চলে বাধা দেওয়াকে। স্টোক একটি মারাত্তক ভহাবহ রোগ এই রগে আক্লান্ত হয়ে এখন অনেক মানুষ প্রান হারাচ্ছে। 

আজকের আলোচনায় আমরা জানবো স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয়  উপায় নিয়ে আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, স্টোক কী, স্টোক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি? স্টোক রোগের কারণ কি কি? স্টোক রোগ হলে কি করনীয়? এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

স্টোক কী ?

স্টোক একটি মারাত্তক ব্যাধি, এই রোগে আক্লান্ত বিশ্বে অনেক রোগী রইয়েছে। এই রোগের লক্ষন দেখাদিলে সাথে সাথে ব্যবস্থা বা ডাক্তার এর শরণাপন্ন না হলে রুগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রিয়, পাঠক, স্টোক রোগ কী অনেকই জানতে চাই । স্টোক রোগ কী তা  নিম্নে দেওয়া হলোঃ 

স্টোক সাধারণ ভাষায় বলা যায় মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটনাকেই বোঝানো হয়েছে। মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত চলাচলে বাধা প্রাপ্ত হলে সেই অংশের কোচ কার্য ক্ষমতা হারায় ফেলে। আর এই অবস্থাটাকেই স্টোক বলে বিবেচিত করা হয়। স্টোক দুই ধরনের হয় একটা রক্তক্ষরণজনিত বা হিমোরেজিক স্টোক এবং অন্যটি হলো স্কিমিক স্টোক, এতে রক্তক্ষরণ হয় না। 

এটা জীবন মৃত্যুর কারণ হতে পারে এজন্য উপরে উক্ত লক্ষণ গুলি দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আশা করছি স্টোক কী জানতে পেরেছেন। নিম্নে স্টোক রগের লক্ষন গুলো কি কি তা দেওয়া হলোঃ

স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি?

স্টো একটি মারাত্তক ও ভয়াভহ রোগ। এই রোগে আক্লান্ত ব্যক্তির জীবন ঝুকিতে থাকে। কোনো কারনে অতিরিক্ত টেনশনের কারনে স্টোক রোগের লক্ষন দেখা দেয়। আমাদের দেশে দিন দিন স্টোক রোগে আক্লান্ত রুগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশে প্রতিদিন কিছু সংখক মানুষ এই রোগে আক্লান্ত হয়ে মারা যায়। বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা এন এইচ এস বেশ কিছু স্ট্রোক রোগের  লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছে। নিম্নে স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি দেয়া হলোঃ

স্টোক রোগ হলে এক পাশে মুখ ঝুলে যেতে পারে, ঝুলে যাবার কারনে হয়তো ভালোভাবে হাসতে পারবেন না বা কথা বলতে পারবেন না । মুখের এক পাশ বা চোখে দেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে অর্থাৎ অবশ হয়ে যেতে পারে। স্টোক রোগের কারনে কারো কারো দুই হাত অবশ হয়ে যেতে পারে। অবশ না হলেও হাত নাড়াতে ও দুর্বল অনুভব হতে পারে। 

আবার স্টোক রোগের কারনে কারো কারো এক পাশ অবশ হয়ে যায়। এজন্য স্টোকে রোগীরা আস্তে কথা বলেন কথা জড়িয়ে যায় কথা বললেও সেটা অস্পষ্ট শোনা যায়। অনেক সময় কথা বুঝাতে ও পারেন না অনেক রোগী ঠিকমত। আশা করছি স্টোক রোগের লক্ষণ ও কারন বুঝতে পারছেন।

স্টোক রোগের কারণ কি কি

কাজ করার জন্য শরীরের অনেক অঙ্গের মতো রক্তের মাধ্যমে শরীরের অক্সিজেন ও পুষ্টির দরকার হয়। কিন্তু এই রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে ব্রেনের সেলগুলো মারা যেতে থাকে। ফলে ব্রেইন ইঞ্জুরী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কা ও বেশি থাকে। বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা জানাই প্রধানত দুটি কারণে স্টোক হয়ে থাকে।

১।স্কিমিক স্টোকঃ রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এটাকেই স্কিমিক স্টোক বলা হয়।

২।হিমোরেজিক স্টোকঃ মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহকারী দুর্বল রক্তনালী ফেটে যায় ফলে রক্তক্ষরণ হয় আর এটাকেই হিমোরেজিক স্টোক বলে।

ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক বা মাইন্ড স্টোকঃ

সাময়িক সময়ের জন্য মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এটাকে মিনি স্টোক বা মাইন্ড স্টোক বলা হয়ে থাকে। এটি ১৫ সেকেন্ড থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে জানাচ্ছে এন এইচ এসের সাস্থ্য সংস্থা। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা নিতে বলছে বৃটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। কারণ এর ফলে কোন ব্যক্তি খুব দ্রুতই বড় ধরনের স্টোকের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

স্টোক রোগ হলে কি করনীয়?

উপরিউক্ত লক্ষণগুলি দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এরপর সিটি স্ক্যান বাই এম আর আই করে দেখাতে হবে। যাতে করে চিহ্নিত করা যায় এটা কোন ধরনের স্টোক। আর এর ওপরেই চিকিৎসা নির্ভর করে। রক্ত জমাট বাঁধা দূর করতে, রক্ত চাপ এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে অনেকের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি কাজ করে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেশি বাধলে রোগী সার্জারি ও করাতে হয়। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ডায়াকনোসিস নির্ণয় করা খুব জরুরী। যত আগে চিকিৎসা শুরু হবে তত তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার সুযোগ তত বেশি থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কোন ব্যক্তি যদি চর্বি জাতীয় খাবার ও ধূমপান এড়িয়ে চলেন, হাইপার টেনশন থাকলে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তাহলে স্টোকের ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

শেষের অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল, স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয় নিয়ে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেমন বিভিন্ন বিপদ আপদ দিয়েছেন। বিপদ থেকে বাঁচার উপায় বলে দিয়েছেন। উপরিউক্ত নির্দেশনা থেকে স্টোক রোগের লক্ষণ, কারণ ও করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি আশা করছি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং নিত্য নতুন স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url