বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে করনীয় কি?

বিড়াল আমাদের কম বেশি সবার পছন্দের বা খুবই আদরের। বলা হয়ে থাকে যে ব্যাক্তি, প্রানি পছন্দ করে না তার নাকি হৃদয় নেই। কিন্তু যখন সেই পছন্দের বিড়াল কামড় বা আঁচড় দেই তখন কি করবেন, বিড়ালে কামড়ালে বা আছড়ে করনীয় কি?
বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে


এই নিয়ে বিস্তারিত জানব প্রিয় পাঠক, আজকের আলচ্য বিষয় বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে কি বিষ হয়? এই সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে কি বিষ হয়?

  • প্রথম অংশ
  • বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে করনীয় কি?
  • বিড়ালে কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়?
  • বিড়ালে কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হয়?
  • বিড়ালে আঁচড় দিলে কি দোয়া পড়তে হয়।
  • বিড়ালে কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা নিতে হয়
  • বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম কি
  • শেষ অংশ

প্রথম অংশ

আজকের আলচ্য বিষয়,  বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে করনীয় কি? আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে,  বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে করনীয় কি?? বিড়ালে কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়? বিড়ালে কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হয়? বিড়ালে আঁচড় দিলে কি দোয়া পড়তে হয়? বিড়ালে কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা নিতে হয়? বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম কি ? প্রিয় পাঠক, এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বিড়ালের কামড়ে বা আঁচড়ে করনীয় কি?

বিড়ালে কামড়ে বা আঁচড়ে বেশ কিছু করনীয় পদক্ষেপ রয়েছে, আঁচড় বা কামড় খাইনি এমন বিড়াল প্রেমি খুব কম আছে। সখের প্রাণী হলে ও দুর্ঘটনা বসতো আঁচড় লেগে যায়। তবে আঁচড়ে বা কামড় খাওয়ার পর বুঝতে পারেন না! অনেকে এখন করনীয় কি, অনেকে আতঙ্কে থাকে কি করবেন, এমনকি জলাতঙ্কের ভয়ে ও থাকেন । আজকের আর্টিকেলে আমি এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই দয়া করে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন । ক্ষতের গভীরতা দেখুন মাঝে মধ্যে বিড়ালের আঁচল লাগলেও তেমন ক্ষত তৈরি হয় না।

এক্ষেত্রে জীবানু নাশক দিয়ে ভালোভাবে ক্ষতস্থানটি ধুয়ে ফেলুন, ক্ষতস্থানটি যদি গভীর হয় বা অনেক রক্তপাত হলে এটাকে এড়িয়ে যাবেন না, খুব দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন। ভাইরাস বা জলাতঙ্ক রোধে সাবান পানি সবচেয়ে কার্যকর। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক সলিউশন এ জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না । এজন্য ক্ষত হওয়ার সাথে সাথে সাবান পানি দিয়ে ক্ষণ স্থানটি ধুয়ে ফেলুন।

ব্যাকটেরিয়া দূর করতে তরল এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন এক্ষেত্রে সেভ্লন ও ডেটল বেশি কার্যকরী। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত খুব বেশি বের হলে ব্যান্ডেজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে রক্তপাত বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে ব্যান্ডেজ টি খুলে ফেলতে হবে। কোনরকমের অ্যান্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।

ক্ষতস্থানটিতে জ্বালাপোড়া বা ফুলে গেলে এবং ব্যথা খুব বেশি হলে বুঝতে হবে ক্ষতস্থান টিতে জীবাণু সংক্রমণ রয়েছে। এজন্য আপনাকে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অনেক সময় বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ে জ্বর চলে আসে, এটি বয়স্কদের মাঝে খুব কম দেখা দিলেও শিশুদের মাঝে বেশি দেখা দেয় এক্ষেত্রে ও ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

বিড়ালে কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয়?

বিড়ালে কামড়ালে কি জলাতঙ্ক হয় এটা নিয়ে অনেকেই মাঝে আতঙ্ক থাকে। তবে ভয় নেই টিউবলাইন ক্লিনিক্যাল এক প্রতিবেদনে এই নিয়ে বলা আছে।আজকের আলোচনায় জলাতঙ্ক নিয়ে আলোচনা করব। চিকিৎসকরা এই ব্যাপারে বলেছেন কুকুর ও বিড়ালের লালা গ্রন্থিতে এক ধরনের বিষক্রিয়া রয়েছে যায় এড়িয়ে গেলে পরবর্তীতে জলাতঙ্কের ভয় থাকে।

তাই বিড়ালে কামড়ালে ক্ষতস্থানটির গভীরতা দেখে ক্ষতস্থানটি অ্যান্টিবায়োটিক ও জীবানুন নাশক দিয়ে, ভালোভাবে ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করে নেব এবং ক্ষতস্থান দিতে প্রচন্ড রক্তপাত হলে ব্যান্ডেজ করব। রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেলে সাথে সাথে ব্যান্ডেজ খুলে দেবো এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জলাতঙ্ক টিকা নেব।

বিড়ালে কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হয়?

বিড়াল একটি পোষ্য প্রাণী। খুব আদরের হয় বিড়াল অনেক সময় বিড়ালের সাথে মজা করতে গিয়ে বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ের শিকার হয়। অনেকেই জানতে চায় বিড়ালে কামড়ালে কি ভ্যাকসিন নিতে হয়। এই নিয়ে আলোচনা করব বিড়ালে কামড়ালে আঁচড়ে যদি কত স্থান গভীর হয় এবং সেখান থেকে রক্ত বের হয় তাহলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ ও ভ্যাকসিন নিবেন এতে ভয় থাকে না জলাতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা ও থাকেনা। আপনার নিজের এলাকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সম্পূর্ণ সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় । তাই বিড়ালে কামড়ালে অবহেলা না করে ভ্যাকসিন নিতে ভুলবেন না।

বিড়ালে আঁচড় দিলে কি দোয়া পড়তে হয়?

আমাদের খুব যত্ন করে সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টিকর্তা, তিনি যেমন বিভিন্ন বিপদ দেন বিপদ থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের দোয়া নাযিল করেছে। আজকে আমি জানাবো বিড়ালে আঁচড় দিলে কি দোয়া পড়তে হয়।
দোয়াঃ আউজুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক।
দোয়াটি পড়লে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তা-আলা সমস্ত রকমের বিষাক্ত প্রাণী থেকে আশ্রয় দিবেন।

বিড়ালে কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা নিতে হয়

কুকুর অথবা বিড়ালের লালা গ্রন্থিতে এক ধরনের জীবাণু থাকে। যার ফলে জলাতঙ্ক হওয়ার আতঙ্ক থাকে। তাই বিড়ালের কামড়ের গভীরতা দেখে । এক থেকে সাত দিনের মধ্যে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে।

বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নাম কি

বিড়ালে কামড়ালে যদি জলাতঙ্ক হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে দেরি না করে ভ্যাকসিন নিতে হবে। বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিনের নামটি হলো র‍্যাবিশ।

শেষ অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আমি বিড়ালে কামড়ালে বা আঁচড়ে করণীয় কি এই নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং নিত্য নতুন স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url