হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার

হারপিস জোস্টার একটি ভাইরাসজনিত ও ছোঁয়াচে রোগ। যা হাঁচি কাঁসির মাধ্যমে ছড়ায়। প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলে হারপিস জোস্টার রোগ কি ভাবে হয়, রোগের লক্ষণ, হারপিস জোস্টার রোগের কারন ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আজকের আলোচনায় আমরা যে যে টপ টপিক জানব  হারপিস জোস্টার কী ? হারপিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ? হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার ? হারপিস জোস্টার এর ঘোরোয়া চিকিৎসা ? হারপিস জোস্টার ভাইরাস কেন হয় ? হারপিস জোস্টার কত দিন থাকে ?হারপিস জোস্টার কি ছোঁয়াচে?হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার

সূচিপত্রঃ হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার

  • প্রথম অংশ
  • হারপিস জোস্টার কী ?
  • হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার
  • হারপিস জোস্টার এর ঘোরোয়া চিকিৎসা ?
  • হারপিস জোস্টার ভাইরাস কেন হয় ?
  • হারপিস জোস্টার কত দিন থাকে ?
  • হারপিস জোস্টার কি ছোঁয়াচে?
  • শেষ অংশ

প্রথম অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলচ্য বিষয় হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার। আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, হারপিস জোস্টার কী ? হারপিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার ? হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার ? হারপিস জোস্টার এর ঘোরোয়া চিকিৎসা ? হারপিস জোস্টার ভাইরাস কেন হয় ? হারপিস জোস্টার কত দিন থাকে ?হারপিস জোস্টার কি ছোঁয়াচে? এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

হারপিস জোস্টার কী ?

হারপিস জোস্টার একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি ছোঁয়াচে রোগ। চিকেন ফক্সের জীবাণোই হচ্ছে হারপিস জোস্টার। অর্থাৎ যে ব্যক্তির একবার চিকেন ফক্স হয়েছে সেই ব্যক্তির শরীরে হারপিস জোস্টার হয়ে পরবর্তীতে শরীরে ফুসকুড়ির মত হয়ে বের হয়। এই ভাইরাসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে থাকলে খুব সহজে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে যায়। এছাড়াও ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ি যাদের শরিরে চিকেন ফক্স পূর্বে হয়েছে। সেই সমস্ত ব্যক্তিকে হারপিস জোস্টারে আক্লান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।

হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার

হারপিস জোস্টারের উৎস মূলত চিকেন ফক্স থেকে হয়ে থাকে। ছোট বেলায় যদি কখনো চিকেন পক্স হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যাক্তির হারপিস জোস্টার রোগ হবার সম্ভাব না রয়েছে। হারপিস কথাটি গ্রিক শব্দ হারপিন থেকে এসেছে। কারো শরীরে যদি একবারও চিকেন পক্স হয়ে থাকে চিকেন পক্স হওয়ার কারণে তার শরীরে কিছু ভাইরাস থেকে যায়। যখন শরীরের ইউনিটি কমে যায় বা এমন কোন ওষুধের কারণে শরীর ইমিউনিটি পাওয়ার হারিয়ে ফেলে ঠিক তখনই উপদ্রব হয় হারপিসের। তখন থেকেই শরীরের যে কোন জায়গায় ফুসকুড়ির মত হয়ে বের হতে থাকে।

হারপিস জোস্টার সাধারণত শরীরের একপাশে হয়ে থাকে। হারপিস জোস্টার হলে শরীরের আক্রান্ত জায়গায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। হারপিস জোস্টার এর ব্যথা এক মাস থেকে ছয় মাসও থাকতে পারে। হারপিস জোস্টারের ফুসকুড়ি থেকে যে রসটা বের হয় সেটা যদি অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে সেই ব্যক্তিরও ইনফেকশন হতে পারে।

হারপিস জোস্টার এমন একটি রোগ এটি সম্পূর্ণভাবে ভালো হতে সময় কম হলেও সাত দিন লাগে এবং খুব বেশি দিন হলে এক থেকে ৩ মাসও লেগে যেতে পারে। ব্যাথা কমতে ৩ থেকে ৬ মাস লাগতে পারে। তাই হারপিস জোস্টারের প্রতিকার হতে পারে হারপিস জোস্টার এর লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে অবহেলা না করে ডাক্তারে পরামর্শ নেওয়া। প্রয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের সেবা নেওয়া। হারপিস জোস্টার যেকোনো ব্যক্তির শরীরে একের অধিক বার হতে পারে।

হারপিস জোস্টার এর ঘোরোয়া চিকিৎসা ?

হারপিস জোস্টার হলে অনেকেই খুব ভয় পেয়ে যান। হারপিস জোস্টার একটি খুব খারাপ রোগ হলেও প্রাণঘাতী নয়। আজকে আমি আপনাদের কাছে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা জানাবো যা প্রয়োগে হারপিস জোস্টার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।হারপিস জোস্টারের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
১। নিম পাতাঃ কয়েকটি নিম পাতা দিয়ে পানি পানি গরম করুন। এবং সে পানি দিয়ে গোসল করুন।
২। এলোভেরাঃ এলোভেরা জেল ব্যবহারে হারপিস জোস্টারের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে। এবং সংক্রমণ ছড়াতে ও বাধা সৃষ্টি করে।

৩। যষ্টিমধুর শিকড়ঃ পানির মধ্যে কিছু যষ্টিমধুর শিকড়ের গুঁড়ো ভালোভাবে পানিতে মিশ্রণ করুন এবং অক্লান্ত স্থানে লাগান এটা আক্রান্ত ব্যক্তিকে অনেকটা স্বস্তি দেবে।

তবে অতিরিক্ত বেশি হয়ে গেলে ঘরোয়া পরামর্শের পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে ভুলবেন না। আশা করছি হারপিস জোস্টার এর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

হারপিস জোস্টার ভাইরাস কেন হয় ?

হারপিস জোস্টার বিভিন্ন কারণে হতে পারে। হারপিস জোস্টার একটি ভাইরাসজনিত রোগ। পূর্বে যদি কারো চিকেন ফক্স হয়ে থাকে। চিকেন ফক্স ভাইরাসের কিছু জীবাণু শরীরের মধ্যে থেকে যায়। কোন কারনে শরীরের ইউনিটি কমে গেলে হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথমত জ্বর, মাথা ব্যথা, হয় আস্তে আস্তে শরীরে ফুসকুড়ির মতো হয়ে বের হয়। হারপিস জোস্টার সাধারণত শরীরের এক পাশে হয়ে থাকে। ডান পাশে হবে অথবা বাম পাশে। হারপিস জোস্টার আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্য একটি ব্যক্তির শরীরে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। 

হারপিস জোস্টার কত দিন থাকে ?

হারপিস জোস্টার একটি ভাইরাস জনিত ও ছোঁয়াচে রোগ । যদি একটি সুস্থ মানুষ হারপিসে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকে সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিটিরও হারপিস জোস্টার হবার সম্ভাবনা রয়েছে ৯৯% । হারপিস জোস্টার ভালো হতে কম করে ৭ দিন এবং খুব বেশি হলে তিন মাস সময় লাগতে পারে। সাত দিন পর থেকে ফুসকুড়ির খোসা উঠতে শুরু করে এবং ১৫ দিনে তা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যায়। এবং ৩০ দিনে তা সাদা দাগ সৃষ্টি করে। কিন্তু অনেক সময় হারপিস জোস্টারের ব্যথা সম্পূর্ণভাবে ভালো হতে এক মাস থেকে ছয় মাস সময় লেগে যায়।

হারপিস জোস্টার কি ছোঁয়াচে?

প্রিয় পাঠক, হারপিস জোস্টার একটি ভাইরাস সৃষ্ট রোগ। হারপিস জোস্টারে আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে যদি অন্য একটি সুস্থ মানুষ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিরও হারপিস জোস্টারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হারপিস জোস্টারে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে যে ফুসকুড়ি বের হয়। ফুসকুড়ি থেকে বেরোনো রস যদি কোন সুস্থ মানুষের শরীরে লেগে যায় ।

সে ক্ষেত্রে সে ব্যক্তি হারপিস জোস্টারে আক্রান্ত হবেন। যদি সুস্থ ব্যক্তির আগে কখনো চিকেন পক্স বের না হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিটি হারপিস জোস্টারে আক্রান্ত না হয়ে চিকেন পক্সে আক্রান্ত হবেন। কারণ চিকেন পক্সের সৃষ্ট জীবাণু থেকেই হারপিস জোস্টারের সৃষ্ট হয়। আশা করছি হারপিস জোস্টার ছোঁয়াচে কিনা সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

শেষ অংশ

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয়, হারপিস জোস্টার রোগের লক্ষণ, কারন ও প্রতিকার। আশা করছি উপরিউক্ত আলোচনা থেকে হারপিক জোস্টার রোগের লক্ষণ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আলোচনা করেছি হারপিস জোস্টার রোগের ঘরোয়া উপায় নিয়ে, আলোচনা করেছি হারপিস জোস্টার ঠিক কতদিন থাকে । এছাড়াও আলোচনা করেছি হারপিস জোস্টার হওয়ার কারণ ও হারপিস জোস্টার কি ছোঁয়াচে এই নিয়ে।

আশা করছি এই সমস্ত কারণ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। আর্টিকেলটি কেমন লাগলো কমেন্ট বক্সে তা জানাতে ভুলবেন না এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোনো আর্টিকেল পেতে কমেন্ট বক্সে জানান কমেন্ট করে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url