তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয়,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত নিয়ে আমরা
অনেকেই আছি যারা তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে অবগত নয়।
আজকে আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে পাশাপাশি থাকছে,
তাহজ্জুদ নামাজ কী, ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত,
বেতের নামাজ পড়ার পর কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়, তাহাজ্জুদ নামাজে গুরুত্ত ,
তাহাজ্জত নামাজের মনাজাত, তাহাজ্জুদ নামাজের সব চেয়ে ভালো সময়, তাহাজ্জুদ নামাজের
সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরন হয়, তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নাত,
তাহাজ্জুদ নামাজ কি প্রতিদিন পড়তে হয় এ সমস্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
প্রিয় পাঠক, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে জানতে পুরো
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত জেনে নিন
- প্রথম অংশ
- তাহজ্জুদ নামাজ কী ?
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত।
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম।
- তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত।
- ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত।
- বেতের নামাজ পড়ার পর কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়।
- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত
- তাহাজ্জত নামাজের মনাজাত।
- তাহাজ্জুদ নামাজের সব চেয়ে ভালো সময়?
- তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরন হয় ?
- তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নাত ?
- তাহাজ্জুদ নামাজ কি প্রতিদিন পড়তে হয় ?
- শেষের অংশ
প্রথম অংশ
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত আলোচনা
প্রথম অংশে যা যা থাকছে, তাহজ্জুদ নামাজ কী? তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত? তাহাজ্জুদ
নামাজের নিয়ম? তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত? ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত? বেতের
নামাজ পড়ার পর কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়? তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও
ফজিলত?তাহাজ্জুদ নামাজে গুরুত্ত ?
তাহাজ্জত নামাজের মনাজাত? তাহাজ্জুদ নামাজের সব চেয়ে ভালো সময়? তাহাজ্জুদ নামাজের
সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরন হয়? তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নাত?
তাহাজ্জুদ নামাজ কি প্রতিদিন পড়তে হয়? প্রিয় পাঠক এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে
নিম্নে দেওয়া হলো। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত আর্টিকেলটি জানতে
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহজ্জুদ নামাজ কী
তাহজ্জুদ অর্থ হচ্ছে রাত জাগা, হাদিসের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়,
রাতের শেষ প্রহরে যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে তাহজ্জুদ নামাজ বলে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ন নামাজ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। কোরআনে
এই নামাজটির কথা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাম ধরে আলাদা করে উল্লেখ করেছেন।অর্থাৎ
পাঁচ ওয়াক্ত আবশ্যিক এবং ফরজ যে সালাত রয়েছে এর বাইরে অতিরিক্ত হিসাবে হে রাসূল
আপনি রাতের কিছু অংশে দাড়িয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করুন। এই সালাতের মাধ্যমে
বান্দা রাব্বুল আলামীনের খুব বেশী নৈকট্য লাভ করতে পারে কাছাকাছি যেতে পারে।
তাহাজ্জুতের সময় অর্থাৎ ভোর রাতে এবং তাহাজ্জুদের সালাতের মাধ্যমে ওই সময়টাতে
দোয়া করার মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে যেকোনো চাওয়াকে পেশ করার
সবচাইতে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে তাহাজ্জুদের নামাজ। তাহাজ্জুদের
নামাজ নিয়ে অনেকেই জানতে চান কি ভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করব এবং কখন আদায়
করতে হয় সন্ধ্যা রাতে আদায় করলে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় হবে কি না, এসব প্রশ্নের
উত্তর নিম্নে দেওয়া হলো।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
নিয়ত হলো আল্লাহর কাছে বান্দার সব চাইতে বড় আমানত। যে ব্যাক্তি সঠিক ভাবে নিয়ত
করতে পারল না তার নামাজ আদায় হলো না। অনেকেই আছে যারা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
জানেন না তারা জেনে নিন কীভাবে তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত করতে হয়।
তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য নামাজের বিছানায় দাড়িয়ে আল্লাহ হু আকবার বলে হাত বেধে
মন থেকে কত রাকাত নামাজ আদায় করতে চান সেটা নিয়ত করে ছানা পাঠ করতে হবে। যদি ২
রাকাত পড়তে চান তাহলে বলতে হবে ২ রাকাত তাহাজ্জুদের নফল নামাজ বলে ছানা পাঠ করতে
হবে। এই ভাবে নিয়ত করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আমাদের নামাজের নিয়তকে কবুল করে
নিবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
সালাত কে পরিপুর্ন ভাবে আদায় করতে গেলে নামাজের নিয়ম জানা খুবই প্রয়োজন। অন্যান্য
নামাজের ক্ষেত্রে যেমন সঠিক নিয়মে সালাত আদায় না করলে সালাত আদায় হয় না তেমনি
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম না জানলে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় হয় না। অনেকেই আছেন যারা
তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ম জানে না আজকের আর্টিকেলে তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ম
সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ সালাতে পর তাহাজ্জুদ সালাত সব চাইতে উত্তম এবং অধিক প্রিয়
সালাত মহান আল্লাহর কাছে। তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হলো ঘুম থেকে ওঠে যে সালাত আদায়
করা হয় সেই সালাত কে তাহাজ্জুদ সালাত বলে। তাহাজ্জুদের নামাজের জন্যে সবচেয়ে ভালো
সময় হলো রাতের তৃতীয় অংশে অর্থাৎ রাতের শেষ সময়ে রাত ২ টার পর থেকে ফজরের নামাজের
আগে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের সব চেয়ে উত্তম সময় ৩:১৫ থেকে
শুরু হয়। যে নিয়মে পড়বেন
ঘুম থেকে ওঠে প্রথমে অযু করে নিবেন ওযু শেষে ওযুর দোয়া পড়ে নিবেন। তারপর নামাজে
দাড়িয়ে ২ রাকাত করে নামাজ আদায় করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি ৪, ৮, ১২, ১৬ ইচ্ছা মতো
আদায় করতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
ফরজ নামজের পর তাহাজ্জুদ নামাজের সব চাইতে বেশি ফজিলত দিয়েছেন মহান আল্লাহ। আবু
হুরাইরা (রা.) থেকে বর্নিত তাহাজ্জুদের নামাজ যে ব্যাক্তি পড়ে তাদের আত্তার
সরাসরি সম্পর্ক হয় আল্লাহর সাথে। এই নামাজে বান্দা তার আল্লাহর কাছে নিজের ইচ্ছা
আরজি করতে পারে। এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।
আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্নিত রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ জমিনের শেষ আসমানে নেমে
আসেন। আল্লাহ বলেন হে আমার বান্দারা তোমরা কে কোথায় আছো আমি তোমার ডাকে সাড়া দিতে
প্রস্তুত। তোমাদের কার কি আর্জি আমার কাছে চাও আমি তা পুরন করে দিব। তিনি বলেন
পাপ করেছো আমার কাছে ক্ষমা চাও । আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব।
৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
আল্লাহ রব্বুল আলামিন কোরআনে কারিমের মধ্যে তার প্রিয় নবি মহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ
(সাঃ) কে তাহাজ্জুদ নামজের মাধ্যমে নির্দেষ দিয়েছেন। রাসুল্লাহ (সাঃ) কখনো
তাহাজ্জদের নামাজ সাড়তেন না। ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করলে বিশেষ কোনো ফজিলত
পাওয়া যাই এই রকম কথা হাদিসে বা কোরআনে কোথাও লেখা নাই। তবে যদি কোনো ব্যক্তি এক
নাগারে ৪০ দিন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন কোনো নেক আশা পুরনের জন্যে তাহলে
ইনশাআল্লাহ তার নেক আশাটি পুরন করে দিবে।
বেতের নামাজ পড়ার পর কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়?
তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হলো ঘুম থেকে ওঠে যে সালাত আদায় করা হয় সেই সালাত কে
তাহাজ্জুদ সালাত বলে। যদি ও কেউ বেতের নামাজ পড়ার পর তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে
সেটিকে ও এক প্রকার তাহাজ্জুদ বলে।তবে এই সালাত কিয়ামুল লাইল এর মধ্যে পড়ে
মাহানবী (সঃ) এ ক্ষেত্রে ২টি শব্দ ব্যবহার করেছিলেন ১। কিয়ামুল লাইল ২। তাহাজ্জুদ
১।কিয়ামুল লাইল হলো যা এশার নামাজের পর ঘুমানোর আগে বা পরে ফজরের নামাজের আগ
পর্যন্ত যে কোন সময় আদায় করা যাবে।
২।তাহাজ্জুদ যা ঘুমের পরে পড়া হয়। তাহাজ্জুদ নামাজে উত্তম সময় হলো ঘুম থেকে ওঠে
রাতের শেষ প্রহরে আদায় করা।
অর্থা ৎ এই থেকে বোঝা যায় যে বেতের নামাজ পড়ার পর কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়।
আশা করছি বেতের নামাজ শেষে যাদের তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে দিধা ছিল এই আর্টিকেল পড়ে
তা জানতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত
যে কোন নামাজের জন্যই নিয়ত নিয়ম জানা খুবই জরুরী সাথে ফজিলত ও। নিয়ত নিয়ম না
জানলে যেমন সঠিকভাবে নামাজ আদায় হয় না। তেমনি ফজিলত সম্পর্কে না জানলে নামাজ
আদায় করে তৃপ্তি পাওয়া যায় না। উপরিউক্ত তিন, চার ও পাঁচ এর নির্দেশনায়
তাহাজ্জুদের নামাজ নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি
ভালোভাবে পড়লে আশা রাখবো তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে
জানতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের মনাজাত
দোয়া কবুলের সব চাইতে বড় মাধ্যম হলো মনাজাত সেই মনাজাত যদি সঠিক ভাবে না করতে
পারেন তাহলে সে দোয়া কবুল হয় না। আজকে আমরা জানবো তাহাজ্জুদ নামাজের মনাজাত কি
ভাবে করতে হয়, কি কি দোয়া পড়তে হয়।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়লে আল্লাহ মানুষের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি দোয়ার
মাধ্যমে মানুষের নেক ইচ্ছা পূরন করে দেই। তাহাজ্জুদের নামাজে মাহানবি (সাঃ) এই
দোয়া পড়তেন দোয়াটি হলোঃ
পাশাপাশি অন্যান্য নামাজে আপনি যে ভাবে মনাজাত করেন ওই ভাবে মনাজাত করবেন। এই
মনাজাতে যে যত মন থেকে চাইবে এবং আল্লাহর কাছে কান্না করে বলবে তার দোয়া ততো
তাড়াতাড়ি কবুল হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সব চেয়ে ভালো সময়
তাহজ্জুদ অর্থ হচ্ছে রাত জাগা, হাদিসের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়,
রাতের শেষ প্রহরে যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে তাহজ্জুদ নামাজ বলে। তাহাজ্জুদ
নামাজের সব চেয়ে ভালো সময় হলো রাতের এক তৃতীয় অংশ অর্থাৎ ৩:১৫ থেকে ফজরের আগ
পর্যন্ত। এ সময় মহান আল্লাহতালা জমিনের শেষ আসমানে চলে আসেন বলেন হে আমার
বান্দারা তোমরা কার কি মনের ইচ্ছা আছে আমার কাছে চাও আমি তোমাদের দিতে প্রস্তুত।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরন হয়
ফরজ নামাজের পর মহানবী সাঃ নফল নামাজ হিসেবে তাহাজ্জুদকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। আবু
হুরাইয়া থেকে বর্ণিত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রাতেই
রাতের এক তৃতীয় অংশে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য বাড়ি যেতেন । তাহাজ্জুদ
নামাজের কেরাত পড়তেন অনেক বড় বড় তিনি প্রথম রাকাতেই সূরা বাকারা, আল ইমরান,
পড়ে শেষ করে দিতেন। মহান আল্লাহ রাতের এক তৃতীয়াংশে জমিনের শেষ আসমানে চলে আসেন
এবং বলেন তোমরা কে আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত, তোমরা কে
আমার কাছে কি চাও আমি তা তোমাদের দিতে প্রস্তুত।মনের ইচ্ছা পুরনের দোয়াটি হলোঃ
অর্থঃ হে আমার রব! আমি আপনার কাছে মিনতি করছি এবং আরো প্রমান দিচ্ছি, আপনি আমার
একমাত্র রব, আপনি ছাড়া আমাদের আর কোনো এলাইহী নাই। আপনি একক সত্তা, আপনি ছাড়া
আমাদের অস্তিত্ব নাই। আর আপনার সমকক্ষ আর কেই নাই। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং
তাকে ও কেই জন্ম দেই নি।
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নাত
তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হলো ঘুম থেকে ওঠে যে সালাত আদায় করা হয় সেই সালাত কে
তাহাজ্জুদ সালাত বলে। তাহাজ্জুদ নামাজকে অনেকেই সুন্নাত বলে মনে করেন। তবে
তাহাজ্জুদের নামাজ সম্পুর্নরুপে নফল।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি প্রতিদিন পড়তে হয়
তাহাজ্জুদ নামাজ বান্দার জন্য খুবই গুরুত্তপুর্ন। এই নামাজের মাধ্যমে বান্দার
সাথে তার রবের সরাসরি সম্পর্ক হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে সকল গুনা মাফ করেন ও
মনের ইচ্ছা আল্লাহ পুরন করে দেন। তাহাজ্জুদ নামাজের পড়ার জন্য ধরা বাধা কোনো নিয়ম
নেই। কেউ চাইলে প্রতিদিন পড়তে পারে। আবার চাইলে না পড়লে ও কোনো পাপ নেই।তাহাজ্জুদ
নামাজ প্রতিদিন পড়লে নফল ইবাদতের ছোয়াব পাবে। হাসরের ময়দানে সর্ব প্রথম ফরজ
নামজের হিসাব নেয়া হবে। ফরজ নামাজের হিসাব শেষে কিছু হিসাব যদি কম থাকে তাহলে নফল
ইবাদতের ছোয়াব দিয়ে পুরন করা হবে।
শেষের অংশ
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয়, তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত নিয়ে আশা
করছি তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত নিয়মে ফজিলত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি
আলোচনা করেছি, তাহজ্জুদ নামাজ কী ? তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত।তাহাজ্জুদ নামাজের
নিয়ম। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত। ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত। বেতের নামাজ
পড়ার পর কি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও
ফজিলত।
তাহাজ্জত নামাজের মনাজাত। তাহাজ্জুদ নামাজের সব চেয়ে ভালো সময়? তাহাজ্জুদ নামাজের
সময় কোন দোয়া পড়লে মনের ইচ্ছা পূরন হয় ? তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নাত?
তাহাজ্জুদ নামাজ কি প্রতিদিন পড়তে হয়? আশা করছি উপরিউক্ত আলোচনায় এই সমস্ত বিষয়
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url