কিডনি রোগের কারন - লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কিডনি রোগের কারন-লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার  উপায় নিয়ে। অধিকাংশ মানুষেরই ধারণা নেই, কিডনি রোগ নিয়ে । আজকের আলোচনায় আমরা কিডনি রোগের কারন -লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায় নিয়ে।
কিডনি রোগের কারন -লক্ষণ

পাশাপাশি আরো থাকছে, কিডনি রোগ কাকে বলে? কিডনি রোগের কারন? কিডনি রোগের লক্ষণ? কিডনি রোগের ঝুঁকি ও কারণ? কিডনিতে কি কি রোগ হয়? কিডনি ভালো রাখার উপায়? কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ? কিডনি রোগ কি ভাল হয়? ইত্যাদি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে, প্রিয় পাঠক, কিডনি রোগের কারন  লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায় জানতে পরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সূচিপত্রঃ কিডনি রোগের কারন - লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায় জেনে নিন

প্রথম অংশ

প্রিয় পাঠক আজকের আলোচনার মূল অংশ কিডনি রোগের কারন -লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায়। কিডনি মানব দেহের অত্যন্ত মূল্যবান একটি অঙ্গ। যদি কোন মানুষের কিডনি রোগ দেখা দেয় বা কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তার জীবনে অনেকটা ঝুঁকি হয়ে যায়। যদি কারো দুই কিডনির মধ্যে একটি ড্যামেজ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে সে ব্যক্তিটির বাঁচার চান্স ৫০% থেকে যায়। আর যদি কারো দুটো কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায় তবে তার বাঁচার চান্স ৮০% থাকে। সেক্ষেত্রে সঠিক ভাবে তাকে অন্য আরেক জনের থেকে কিডনি কিডনি ট্রান্সফার করতে হবে। কিডনি সম্পর্কে আরো জানতে
বিস্তারিত নিম্নে দেয়া হলো।

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় কিডনি রোগের কারন - লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায়। আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, কিডনি রোগ কাকে বলে? কিডনি রোগের কারন? কিডনি রোগের লক্ষণ? কিডনি রোগের ঝুঁকি ও কারণ? কিডনিতে কি কি রোগ হয়? কিডনি ভালো রাখার উপায়? কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ? কিডনি রোগ কি ভাল হয়? কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কিডনি রোগের কারন - লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায়  জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগসহকারে পড়ুন। পরের কলামে পড়ুন কিডনি রোগ কাকে বলে?

কিডনি রোগ কাকে বলে

কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যাকে বাংলায় বলা হয় বৃক্ক। মানুষ যেসব প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় কিডনি রোগ তার মধ্যে অন্যতম। কিডনি দেখতে দুটি শিমের আকৃতির মত। কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের রক্তকে পরিশোধিত করে প্রস্রাবের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্কাশন করা। 

আর কিডনিতে যখন সমস্যা হয় বা কিডনি যখন অকেজ হয়ে পড়ে তখন তাকে কিডনি রোগ বলে। আশা করছি কিডনি রোগ কাকে বলে তা জানতে পেরেছেন। নিম্নে কিডনি রোগের কারণ দেওয়া হলো:

কিডনি রোগের কারন

কিডনি মানব দেহের অত্যন্ত গুরুত্তপুর্ন একটি অঙ্গ। আমাদের শরীরের প্রতিদিন দুইটি কিডনি ২০০ লিটার রক্ত পরিশোধ করে এবং রক্ত থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন করে থাকে। যে সমস্ত কারণে কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়। সেই সমস্ত কারণেই হচ্ছে কিডনি রোগ।  কিডনি আমাদের শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও কিডনি আমাদের শরীরের বিভিন্ন বিপক্ষ লাইট যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট ও রক্তের বেগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। কিডনিরে কার্যকারিতা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন থেকেই কিডনি রোগ দেখা দেয়। প্রিয় পাঠক, বিভিন্ন কারণে কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।  যে সমস্ত কারণে কিডনি রোগ হয় সে সমস্ত কারণ নিম্নে হলো কিডনি রোগের কারণ জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।.

১। উচ্চ রক্তচাপ  ঃ
উচ্চ রক্তচাপের ফলে কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। কারণ উচ্চ রক্তচাপ শরীরের রক্তকে প্রবাহ ও নিষ্কাশন করে তরল পদার্থ তৈরি করার যে ক্ষমতা সেটা নষ্ট করে দেয় যার কারণে কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।

২। ডায়াবেটিস
যে ব্যক্তির ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে তার কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেয়ার হসপিটাল এর এক আর্টিকেলে জানা যায় ডায়াবেটিস কিডনি রোগের মূল কারণ, এটা এতটাই ভয়াবহ যে প্রতি তিন জন ডায়াবেটিস রোগীর একজন ব্যক্তি কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩। জন্ম গত কিডনি রোগ এবং মূত্রনালীর অস্বাভাবিকতা
জন্মগত কিডনি রোগ সাধারণত বংশগত হয়ে থাকে । একটি পরিবারে যদি পিতা অথবা মাতার থাকে তাহলে তাদের সন্তানেরও হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বংশগত আছে বলেই পরিবারের সবার হবে এমনটা নয় । কো \ন কোন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়। তবে কিডনির রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

৪।ক্যান্সারের মত রোগ থেকে কিডনি রোগ হয়

কিডনিতে পাথর ও মূত্রনালীতে অতিরিক্ত ঘন ঘন ব্যাথা থেকে কিডনি রোগ হয়
অটোইমুউন রোগ।
উপরিউক্ত উল্লেখযোগ্য কারণে কিডনি রোগ হয়।

কিডনি রোগের লক্ষণ

কিডনি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে। কখনো কখনো আমাদের অজান্তেই কিডনি নষ্ট হয়ে পড়ে। কিডনি রোগ জটিল একটি রোগ। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান তথ্য অনুযায়ী প্রতি ঘন্টায় পাঁচ জন রোগী মারা যায়। কিডনি কার্যক্ষমতা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত উপসর্গ দেখা দেয় না। ফলে অনেকাংশেই রোগ প্রতিরোধ করতে সম্ভব হয় না। কিডনি রোগের লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন চোখে পড়ে না। কিন্তু কিডনি কার্যক্ষমতা আস্তে আস্তে অনেকটাই কমতে থাকে।
কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো দেওয়া হলোঃ
  1. শরীরে ফোলা ভাব
  2. সব সময় শীত শীত ভাব
  3. শরীরে ফুসকার মত র‍্যশ বার হওয়া।
  4. বমি বমি ভাব
  5. শরীরের পিঠের পাশে ব্যথা
  6. প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন
  7. প্রস্রাবের সময় ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

কিডনি রোগের ঝুঁকি ও কারণ

কিডনি মানবদেহের অত্যান্ত মুল্যবান সম্পদ। কিডনি রোগের ঝুঁকি ও কারণ নিয়ে অনেক মানুষ অই হতাশা গ্রস্থ নিম্নে দেওয়া আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে কিডনি রোগের ঝুঁকি ও কারণ নিয়ে জানতে পারবেন। এমন কিছু কারণ রয়েছে, এই সমস্ত সমস্যার কারণে কিডনি রোগ হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান পর্যাপ্ত ওষুধ খাওয়া,  কিডনির সমস্যা নিয়ে জন্ম নেওয়া। 

৬০ বছরের বেশি বয়সের ব্যাক্তি, প্রভৃতি কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এমকি অতিরিক্ত বেশি পানি পান করলে কিডনির সমস্যা হয়। বিভিন্ন ডাক্তারের পরামর্শে জানা গেছে । একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের  প্রতিদিন ৮ থেকে ১০লিটার পানি পান করা প্রয়োজন কিন্তু এর বেশি পানি পান করলে কিডনিতে পচন ধরতে পারে।

কিডনিতে কি কি রোগ হয়

কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটা অঙ্গ। কিডনি রোগ হওয়ার বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনি কার্যকারিতা ধীরগতি এবং প্রগতিশীল ক্ষতি হয় যার ফলে ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত স্থায়ী কিডনি ব্যর্থতা তৈরি করে। আসুন কিডনিতে কি কি রোগ হয় জেনে নেইঃ
  1. ধীর গতির কিডনির বিকল
  2. কিডনিতে সংক্রমণ বা প্রস্রাবে সংক্রমণ
  3. উচ্চ রক্তচাপ জনিত কিডনি রোগ
  4. কিডনি অকেজ বা কিডনি ফেইলর
  5. ডায়াবেটিস রোগ জনিত সমস্যা
  6. কিডনিতে পাথর হওয়া 
  7. প্রস্রাবে বাধা জনিত কারণে কিডনি রোগ হতে পারে

কিডনি ভালো রাখার উপায়

মানুষের শরীরে দুটি কিডনি রয়েছে। মানব দেহের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। কিডনি মানুষের দেহের ঝাঁকুনির মত কাজ করে বিভিন্ন তরল পদার্থ রক্ত থেকে বের করে দেহের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনি ভালো রাখার জন্য যেসব উপায় মেনে চলবেন।
  1. প্রতিদিন নিয়ম মাফিক পানি পান করতে হবে।
  2. কিডনি ভালো রাখতে পারে এমন স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
  3. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
  4. কিডনি ভালো রাখতে ব্যথার ওষুধ কম খেতে হবে।
  5. রক্তে সরকরার পরিমাণ কমাতে হবে।

কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ

কিডনির সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত এবং বড় সমস্যা হতে পারে কিডনিতে পাথর হওয়া। অতিরিক্ত কাঁচা লবণ খাওয়ার কারণে  কিডনিতে সোডিয়াম খুব সহজেই জমা হতে পারে। আর অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণে কিডনিতে পাথর জমতে থাকে। কিডনিতে পাথর জামার লক্ষণ নিম্নে দেওয়া হলঃ
  1. পিঠ ও পাজরে ব্যথা
  2. তলপেটে ব্যথা
  3. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
  4. প্রচন্ড গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
  5. ঘন ঘন জ্বর লেগে থাকা ইত্যাদি 
এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।

কিডনি রোগ কি ভাল হয়

অনেকে আছেন যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে। কিডনি রোগের কারন হতে পারে ডায়াবেটিস। কিছু মানুষের ডায়াবেটিস হওয়ার মূলে হচ্ছে অতিরিক্ত হাইপার টেনশন আর এই টেনশন থেকে সৃস্টি হয় উচ্চ রক্তচাপ। আমরা যদি নিজের যত্ন নেই এবং সচেতন ভাবে চলাফেরা করি তাহলে, এই কিডনির মতো রোগের সমস্যা খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারি।

খাবার বেলায় কিডনি রোগীকে হতে হবে খুব সচেতন। কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের তারা কী খায় সে বিষয়ে সতর্ক হওয়া দরকার। তাদের কিডনির সমস্যা কতটা গুরুতর তার উপর নির্ভর করে, তাদের প্রতিদিন কতটা পানি, লবণ এবং আমিষ খাবার খেতে হবে তা সীমিত করতে হতে পারে। পশুর মাংস এবং উদ্ভিদ জাতীয় খাবার পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত তাও নির্দিষ্ট করা আছে।

কখনও কখনও, অনেক পটাশিয়াম আছে এমন কিছু ফল অল্প পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। আর যদি কারো শরীরে অত্যধিক ইউরিক এসিডের সমস্যা থাকে, তবে তাকে কিছু খাবার যেমন লাল মাংস, লিভার, ব্রেন এবং সামুদ্রিক মাছ খেতে দেওয়া হয় না। আপনার নির্দিষ্ট কিডনি সমস্যার জন্য প্রস্তাবিত ডায়েট অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে সমস্ত খাবার সীমাবদ্ধ নয়। নিম্নে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার উপায় দেওয়া হলোঃ

কিডনি রোগ প্রতিরোধ করার উপায়

কিডনি রোগ একটি অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল সমস্যা। আপনার কিডনি দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করলে, আপনাকে ডায়ালাইসিস করতে হতে পারে বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি নতুন কিডনি পেতে হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে নিয়মিত লোকেদের সামর্থ্য এবং বোঝার জন্য এই চিকিৎসাগুলি খুবই কঠিন।

কিডনি রোগের কারন কিডনি ফেইলিওর হওয়া।কিডনি ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিলে কিডনি ফেইলর হয়। এটি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা, গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস নামক সমস্যা, বা কিডনিতে পাথর বা ক্যান্সারের মতো বিষয়গুলির কারণে হতে পারে। কখনও কখনও, কিছু ওষুধ গ্রহণ বা ক্ষতিকারক রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসার কারণেও মানুষ কিডনি ব্যর্থ হতে পারে।

বাংলাদেশে কারো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে তার কিডনি ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা সুস্থ রাখতে, তাদের প্রায়শই এটি পরীক্ষা করতে হবে এবং তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের বছরে একবার বা দুবার ডাক্তারের কাছে তাদের কিডনি পরীক্ষা করা উচিত। এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে ডায়াবেটিস যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে, তার বয়স যতই হোক না কেন।

কিডনি রোগের কারন হতে পরে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া।যখন খুশি দোকান থেকে ওষুধ কেনা উচিত নয়। কিছু ওষুধ আপনার কিডনির ক্ষতি করতে পারে যদি আপনি খুব বেশি খান। এমনকি প্রাকৃতিক প্রতিকার এবং ভিটামিন ক্ষতিকারক হতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য যেকোন ওষুধের সাথে সতর্কতা অবলম্বন করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এখানে-সেখানে অল্প অল্প করে নিলে সুস্থ থাকা এবং কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকুন এবং প্রথমে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ খান।

ধূমপান কিডনি রোগের কারন কিডনির জন্য এটি প্রয়োজনীয় রক্ত ​​​​পাওয়া কঠিন করে তোলে এবং এটি কারও কিডনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তোলে। একদম ধূমপান না করাই ভালো। এমনকি আপনি ধূমপান না করলেও, এমন একজনের আশেপাশে থাকা এখনও ক্ষতিকারক হতে পারে, বিশেষ করে বাচ্চা এবং মহিলাদের জন্য। প্রত্যেকের নিরাপত্তার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে লোকেরা ধূমপান ত্যাগ করে।

উপরিউক্ত লেখা এই সমস্ত কারণ মেনে চললে কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা যায়। নিম্নে এই আর্টিকেল সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকে আমি আলোচনা করেছি কিডনি রোগের কারন-লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার উপায় সম্পর্কে। উপরিউক্ত এই সমস্ত কারণ মেনে চললে কিডনি রোগ থেকে রেহায় পাওয়া যায়। যাদের কিডনি রোগের মত সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই এই সমস্ত দিকগুলো মেনে চলবেন। আর কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। 

পাশাপাশি আলোচনা কিডনি রোগ কাকে বলে ? কিডনি রোগের কারন ? কিডনি রোগের লক্ষণ ? কিডনি রোগের ঝুঁকি ও কারণ ? কিডনিতে কি কি রোগ হয় ? কিডনি ভালো রাখার উপায় ? কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ ? কিডনি রোগ কি ভাল হয় ? এই নিয়ে। আশা করছি কিডনি রোগের কারন - লক্ষণ ও প্রতিরোধ করার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

প্রিয় পাঠক, পুরো আর্টিকেল পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করতে ভুলবেন না। নিত্য নতুন এইরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url