হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কী কী?
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজকের মূল বিষয় সমূহ হলো হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কী কী? বিষয়টি পোস্ট অ্যাকাউন্টিং অধ্যায় ১ এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি বিগত ২০০২-২০০৯, ২০১৬ ও ২০১৯ সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স থার্ড ইয়ার একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষায় এসেছে।
সূচিপত্রঃ হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কী কী?
- প্রথম অংশ
- হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি
- হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কি কি
- প্রকৃত বা ঐতিহাসিক ব্যয় কৌশলঃ
- মান ব্যয় হিসাবঃ
- প্রান্তিক ব্যয় হিসাব
- সুযোগ ব্যয়ঃ
- পার্থক্যমূলক ব্যয় হিসাববিজ্ঞানঃ
- আনুমানিক ব্যয়ঃ
- নিমজ্জিত ব্যয়ঃ
- প্রতিস্থাপন ব্যয়ঃ
- বাজেট নিয়ন্ত্রণঃ
- আর্থিক পরিকল্পনাঃ
- শেষের অংশ
প্রথম অংশ
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয়, হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কী
কী? আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে সব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি?
হিসাববিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কি কি? ১। প্রকৃত বা ঐতিহাসিক ব্যয় কৌশলঃ ২।
মান ব্যয় হিসাবঃ ৩।
প্রান্তিক ব্যয় হিসাব ৪। সুযোগ ব্যয়ঃ ৫। পার্থক্যমূলক ব্যয় হিসাববিজ্ঞানঃ ৬।
আনুমানিক ব্যয়ঃ ৭। নিমজ্জিত ব্যয়ঃ ৮। প্রতিস্থাপন ব্যয়ঃ ৯। বাজেট
নিয়ন্ত্রণঃ ১০। আর্থিক পরিকল্পনাঃ ইত্যাদি এই সমস্ত বিষয়
সম্পর্কে নিম্নে দেয়া হলোঃ
হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি
উত্তরঃ উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের যে কৌশলের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে
সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হয় তাকে
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের কৌশল বলে।
হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কি কি
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের যে কৌশলের মাধ্যমে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে সর্বনিম্ন
পর্যায়ে রাখা হয় তাকে
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের কৌশল বলে। কৌশল হলো নিয়ম নীতি বা পদ্ধতির বাস্তব প্রয়োগ। নীতির বাস্তব
প্রয়োগ করা হলে প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় এবং কোন প্রতিকূল ফলাফল
আসলে তা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
নিম্নে
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের কৌশল সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১। প্রকৃত বা ঐতিহাসিক ব্যয় কৌশলঃ
প্রকৃতি বা ঐতিহাসিক কৌশল হলো একটি উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণের প্রাচীনতম কৌশল। এই
কৌশলে কোন জবের ব্যয় উক্ত জবের ব্যয় সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় শেষ হবার পর
নির্ধারণ করা হয়। সম্পূর্ণ নতুন ধরনের পণ্য বা পূর্বে এ ধরনের ব্যয় নির্ণয় করা
হয়নি এসব বিশেষ ক্ষেত্রে প্রকৃত ব্যয় এর ভিত্তিতে উৎপাদন ব্যয় নির্ণয় করা
হয়। কোন কোন সরকারি ঠিকা কার্যে এ ধরনের ব্যয় নির্ণয় কৌশল দেখা যায়।
২। মান ব্যয় হিসাব
এই কৌশল দ্বারা কোন দ্রব্য উৎপাদিত হবার পূর্বেই পূর্ব নির্ধারিত মান অনুসারে
উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। এই পূর্ব নির্ধারিত ব্যয়কে মান ব্যয় হিসাব বলা
হয়। মান ব্যয় হিসাব সাধারণ তো উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রবর্তন করা যায়।
৩। প্রান্তিক ব্যয় হিসাব
যেই হিসাব ব্যবস্থায় স্থায়ী ব্যয় বিবেচনা করে শুধুমাত্র মুখ্য ও অন্যান্য
পরিবর্তনশীল ব্যয়ের ভিত্তিতে উৎপাদনের নির্ণয় করা হয় তাকে প্রান্তিক ব্যয়
হিসাব বলে। এই কৌশল দ্বারা লাভের উপর বিভিন্ন প্রভাব বিশ্লেষণ করা যায় যা
ব্যবস্থাপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।
৪। সুযোগ ব্যয়
দুটি বিকল্প সুযোগের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উৎকৃষ্টটি ত্যাগ করা হয় তা থেকে যে আয়
পাওয়া যায় তা গৃহীত প্রকল্পের সুযোগ ব্যয় বলে। সুযোগ ব্যয় কৌশল ব্যবস্থাপনাকে
সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।
৫। পার্থক্যমূলক ব্যয় হিসাববিজ্ঞান
উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয় অর্থাৎ উৎপাদনের পরিমাণ হার্স বৃদ্ধি বিভিন্ন
বিকল্প অবস্থা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ ব্যয়ের হাঁস বৃদ্ধি বা পরিবর্তন
ঘটে তাকে বর্ধিত সাশ্রয়কৃত বা পার্থক্যমূলক ব্যয় বলে।
৬। আনুমানিক ব্যয়
আনুমানিক ব্যয় এ জাতীয় ব্যয় কখনো নগদে পরিশোধ করতে হয় না, এটি কাল্পনিক বা
ধারণা কিন্তু ব্যয় মাত্র। এই ব্যয় তুলনামূলকভাবে ব্যয় বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।
৭। নিমজ্জিত ব্যয়
যে ব্যয় অতীতে হয়েছে এবং আদায়যোগ্য নয় তাকে নিমজ্জিত ব্যয় বলে। স্থায়ী
সম্পত্তির অবচয় এ জাতীয় ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।
৮। প্রতিস্থাপন ব্যয়
অতীতে ক্রয় করা হয়েছে এমন কোন যন্ত্রপাতি বা কাঁচামালের পরিবর্তে পরিবর্তন
বাজার মূল্য একই নতুন যন্ত্রপাতি বা কাঁচামাল ক্রয় করলে যে ব্যয় হয় তাকে
প্রতিস্থাপন ব্যয় বলে।
৯। বাজেট নিয়ন্ত্রণ
উৎপাদন ব্যয় হিসাব বিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বাজেট নিয়ন্ত্রণ। বাজেট
নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন, বাজেটের সাথে সম্পাদিত কাজের অবিরাম তুলনা
করে তা থেকে পার্থক্য বের করা হয়।
১০। আর্থিক পরিকল্পনা
প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য সফল করার জন্য নগদ বাজেট প্রস্তুত করার মাধ্যমে নগদ
অর্থের আগমন ও নির্গমন সম্বন্ধে আগে থেকে জানা যায়। দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্প
মেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থা আছে। এগুলোর
জন্য নিত্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। বিনিয়োগকৃত মূলধন থেকে সর্বাধিক সুবিধা
পাওয়ার জন্য কি পরিমান টাকার প্রয়োজন হয়, কোন উৎস হতে সংগ্রহ করা হবে, মালিকের
নিজস্ব মূলধন না ঋণকৃত মূলধন, কিভাবে আয় বন্টন হবে ইত্যাদি আর্থিক পরিকল্পনার
মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
সবশেষে বলা যায় যে,
হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ ব্যবহার করে ব্যয় নির্ণয়, নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনাকে
সহায়তা মূলক কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়।
শেষের অংশ
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কী
কী? আশা করছি হিসাব বিজ্ঞানের কৌশল সমূহ কি ও কি কি সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন পাশাপাশি আলোচনা করেছি১। প্রকৃত বা ঐতিহাসিক ব্যয় কৌশলঃ ২। মান ব্যয়
হিসাবঃ ৩। প্রান্তিক ব্যয় হিসাব ৪। সুযোগ ব্যয়ঃ ৫। পার্থক্যমূলক ব্যয়
হিসাববিজ্ঞানঃ ৬। আনুমানিক ব্যয়ঃ
৭। নিমজ্জিত ব্যয়ঃ ৮। প্রতিস্থাপন ব্যয়ঃ ৯। বাজেট নিয়ন্ত্রণঃ ১০। আর্থিক
পরিকল্পনাঃ ইত্যাদি এ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url