বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা
প্রিয় শিক্ষার্থী আজকের আলোচ্য বিষয় বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা। প্রথমেই আমরা জেনে নেই বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে নানা কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তৈরি হয়েছে এই টানেল। অন্যান্য দেশের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল । বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভাবতে ও পারেনি নদীর তলদেশে এরকম একটা টানেল তৈরি হবে।
প্রিয় পাঠক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল রচনাটি এসসি এবং এইস এস সি পরীক্ষার্থী সহ সিক্স থেকে টেন পর্যন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ রচনা। বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে রচনাটি পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা ৯০%।
প্রিয় শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল রচনাটি জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো জানব বঙ্গবন্ধু টানেল,বঙ্গবন্ধু টানেলের ইতিহাস, নির্মান হার, টোল হার, অর্থায়ন ইত্যাদি নিয়ে। প্রিয় পাঠক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রথম অংশ
প্রিয় পাঠক আজকের আলোচ্য বিষয়, বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা। বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে। সাম্প্রতিক বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা। প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা।
আজকের আলোচনার প্রথম অংশে যা যা থাকছে, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু টানেলের অর্থায়ন, বঙ্গবন্ধু টানেলের টোলহার। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ খরচ ইত্যাদি এ সম্পর্কে বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রিয় শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু টানেল রচনাটি জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। নিম্নে বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে আলোচনা করা হলো।
বঙ্গবন্ধু টানেল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, যা বঙ্গবন্ধু টানেল নামেও পরিচিত, একটি বিশেষ রাস্তা যা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী বড় নদীর তলদেশ দিয়ে যায়। টানেলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ সালে উদ্বোধন করেছিলেন। এটি বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির কাছে নদীর একপাশে শুরু হয় এবং কয়েকটি কারখানার মধ্যে দিয়ে অন্য পাড়ে চলে যায়।
এই টানেলটি নদীর দুই পাড়কে সংযোগ করতে সাহায্য করে এবং এটি একটি বড় হাইওয়ের একটি অংশ যা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত যায়। টানেলটি প্রায় ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ, এটি দক্ষিণ এশিয়ার কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথম এবং দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গে পরিণত করা হয়েছে।
এটি তৈরি করেছে চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। টানেলটি নদীর মাঝখানে প্রায় ১৫০ ফুট পানির নিচে অবস্থিত। আশা করছি বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে জানতে পেরেছেন। নিম্নে বঙ্গবন্ধু টানেলের ইতিহাস সম্পর্কে দেওয়া হলো।
ইতিহাস
বঙ্গবন্ধু টানেল ছিল দেশ নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন। তারই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন।২০১৬ সালের অক্টোবরে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের নেতা একসঙ্গে একটি বড় প্রকল্প তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করেন। তারপর ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে, বাংলাদেশের নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে একটি টানেল নির্মাণ শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমিক কাজ করে। সবশেষে ,২০২৩ সালের অক্টোবরে, বাংলাদেশের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে টানেলটি উদ্বোধন করেন।
২০২২-এর জন্য নতুন বাজেট পরিকল্পনা করলেও, প্রকল্পটি শেষ হতে আরও বেশ কিছু সময় লাগায়৷ নির্মাণ করতে ২০২৩ পর্যন্ত সময় নেন। উপরন্তু, বঙ্গবন্ধু টানেলটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ১৬৪ কোটি টাকা বেড়েছে ৷
অর্থায়নসুরঙ্গ নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের চীনের রাষ্ট্রপতি ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানে নির্মানে ঋণ শক্তির স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। চুক্তি অনুযায়ী চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়েদি ঋণ হিসেবে ২ % সুদে পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করছে।
টোল হার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্ধারণ করায় যে টোল হার সৃষ্টি করেছে তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ব্যবহার করতে সাধারণ জনগণকে যে মূল্য দিতে হবে তা হলোঃ একটি টোল রেট হলো একটি নির্দিষ্ট রাস্তা বা সেতু ব্যবহার করার জন্য আপনাকে যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। আপনাকে যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে তা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের যানবাহন চালাচ্ছেন তার উপর।
উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি একটি নিয়মিত গাড়ি বা পিক-আপ ট্রাক চালান তবে আপনাকে ২০০ ডলার দিতে হবে। আপনি যদি বাস বা ট্রাকের মতো বড় যানবাহন চালান তবে আপনাকে আরও বেশি মূল্য দিতে হবে। গাড়ি যত বড় হবে, তত বেশি টাকা দিতে হবে। ট্রেলারের মতো আপনার গাড়িটি বড় হলে অতিরিক্ত চার্জও রয়েছে।
১। যানবাহনের ধরন ও টোল হার২। ব্যক্তিগত গাড়ি এবং পিকআপ ট্রাকঃ ২০০
৩। মাইক্রোবাসঃ ২৫০
৪। বাস ৩১ আসনঃ ৩০০
৫। বাস ৩২ আসন বা তার অধিকঃ ৪০০
৬। বড় বাস ত্রি এক্সেএলঃ ৫০০
৭। ট্রাক (৫ টন পর্যন্তঃ ৪০০
৮। ট্র্যাক ১১ টনঃ ৬০০
৯। ত্রি এক্সেএল ট্রেলারঃ ৮০০
১০। এক্সেল প্রতি অতিরিক্ত চার্জঃ ২০০
প্রিয় পাঠক আশা করছি বঙ্গবন্ধু টানেলের টোলহার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । নিম্নে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ বাবদ খরচ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
নির্মাণ
নদী সুড়ঙ্গ টির নির্মাণ কাজ করেছে চাইনা কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড। সুরঙ্গের বিভিন্ন অংশ চীনের ঝেনজিয়াংয়ে উৎপাদন করে বাংলাদেশে আনা হয়। ২০২২ সালের মধ্যে সুরঙ্গটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিল। টানেলের প্রতি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৬ ফুট। এছাড়াও এর মধ্যে ব্যবধান ১১ মিটার। সুরঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। এর সঙ্গে ৫. ৩৫ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক যুক্ত।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচ্য বিষয় বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা। প্রিয় শিক্ষার্থী, আশা করছি বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা সম্পর্কে উপরিউক্ত আলোচনায় বিস্তারিত জানতে পেরেছেন,। এছাড়াও আর্টিকেলে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের , ইতিহাস, নির্মাণ খরচ, অর্থায়ন, টোলহার ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকলে আশা করছি বিস্তারিত জানতে পারবেন। । ধন্যবাদ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url